কলকাতা : হাওড়া পুরনিগমের অডিট রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। হাওড়া পুরনিগমের বোর্ড এখনও গঠন হয়নি। পুরনো অ্যাডভাইজারি বোর্ডই এখনও কাজ করছে। এই বোর্ডের আড়ালে তৃণমূল নেতাদের রমরমা ব্যবসা চলছে বলে অভিযোগ উঠেছে। কবে অডিট হয়েছে, কেউ জানে না। অভিযোগ, অডিট রিপোর্ট দেখাচ্ছে না কমিটি। এই মর্মে আবেদন করে মামলা করেছিল, সিপিএম হাওড়া জেলা কমিটি। মঙ্গলবার কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তবের ডিভিশন বেঞ্চ আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে ওই কমিটিকে হাওড়া পুরনিগমের অডিট রিপোর্ট আদালতে জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে।
উল্লেখ্য, হাওড়া পুরনিগমের মোট ৬৬ টি ওয়ার্ড রয়েছে। রাজ্যের সব পুরনিগম ও পুরসভাগুলিতে নির্বাচন হয়ে গেলও থমকে রয়েছে হাওড়ার পুরভোট। ফলে চরম ভোগান্তির মধ্যে পড়েছেন হাওড়ার বাসিন্দাদের একটি বড় অংশ। এদিকে হাওড়া পুরনিগমের নির্বাচন ঘিরে জটিলতা এখনও রয়েই যাচ্ছে। চলছে রাজ্য-রাজ্যপাল চাপানউতোর। এমন অবস্থায় হাওড়া জেলা সিপিএমের তরফে গুরুতর অভিযোগ তোলা হয়েছে। অভিযোগ তোলা হচ্ছে, প্রশাসক মণ্ডলীর আড়ালে কার্যত এখন হাওড়া পুরনিগমে দাপিয়ে বেরাচ্ছেন তৃণমূলের নেতারা। এই পরিস্থিতিতে, ২০১৮ সাল থেকে যে সব অডিট অ্যাকাউন্ট রয়েছে, সেই সবের রিপোর্ট দিতে নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। অর্থাৎ, এই কয়েক বছরে কোন খাতে কী খরচ হয়েছে, সেই সবের হিসেব দিতে হবে কমিটিকে।
এদিকে হাওড়ার ভোট নিয়ে রাজ্য-রাজ্যপাল তর্জা ক্রমেই বাড়ছে। মে মাসের শেষের দিকেই রাজ্য বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, “বিল রাজ্যপালের কাছে গিয়েছে। এখনও অবধি আমাদের কাছে কোনও তার রেজাল্ট আসেনি। রাজ্যপাল হয় অনুমোদন দেবেন, বা হোল্ড করবেন অথবা রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠাবেন। উনি কী করছেন উনি নিজে জানেন।”
তিনি আরও বলেছিলেন, “সব সময়ই বিধান সভায় আসেন। এসে সাংবাদিক বৈঠক করে যান। সবাইকে বলেন কোনও বিল আমার কাছে পেন্ডিং নেই। অফিসিয়ালি আমাদের কাছে ওই বিল নিয়ে আমাদের কাছে এখনও কোনও তথ্য আসেনি। আমরা জানিনা ওই বিলের কী হল।”