Calcutta High Court: জাতীয় নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে রাজ্য শিশু সুরক্ষা কমিশনের মামলা খারিজ করল হাইকোর্ট

TV9 Bangla Digital | Edited By: Soumya Saha

May 23, 2022 | 7:07 PM

Calcutta High Court: মামলায় রাজ্য শিশু সুরক্ষা কমিশনের চেয়ারপার্সন অভিযোগ করেছিলেন, ৮ দফায় বিধানসভা ভোট হওয়ার কারণে কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। এর ফলে বহু শিশু প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলেও তিনি জানিয়েছিলেন ওই মামলায়। পাশাপাশি বহু শিশুর মৃত্যুর হয়েছিল বলেও মামলায় দাবি করা হয়।

Calcutta High Court: জাতীয় নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে রাজ্য শিশু সুরক্ষা কমিশনের মামলা খারিজ করল হাইকোর্ট
ফাইল ছবি

Follow Us

কলকাতা : জাতীয় নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে মামলা করেছিলেন রাজ্য শিশু সুরক্ষা কমিশনের চেয়ারপার্সন। সেই মামলা সোমবার খারিজ হয়ে যায় কলকাতা হাইকোর্টে। কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডন ও বিচারপতি সৌমেন সেনের ডিভিশন বেঞ্চ আজ ওই মামলা খারিজ করে দেন । ওই মামলায় রাজ্য শিশু সুরক্ষা কমিশনের চেয়ারপার্সন অভিযোগ করেছিলেন, ৮ দফায় বিধানসভা ভোট হওয়ার কারণে কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। এর ফলে বহু শিশু প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলেও তিনি জানিয়েছিলেন ওই মামলায়। পাশাপাশি বহু শিশুর মৃত্যুর হয়েছিল বলেও মামলায় দাবি করা হয়।

সোমবার হাইকোর্টে বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডন ও বিচারপতি সৌমেন সেনের ডিভিশন বেঞ্চ ওই মামলাটি খারিজ করার সময় পর্যবেক্ষণে জানান, বিধানসভা নির্বাচন চলাকালীন যে শিশুদের মৃত্যু হয়েছিল তার কারণ খুঁজে বার করতে রাজ্য শিশু সুরক্ষা কমিশনের চেয়ারপার্সন কোনও বৈঠক ডাকেননি। জাতীয় নির্বাচন কমিশনের গাফিলতির কারণে শিশুমৃত্যু হয়েছে কি না, তা অনুসন্ধান করে দেখার সুযোগ ছিল রাজ্য শিশু সুরক্ষা কমিশনের। আদালত মামলা খারিজ করে অবশ্য এও জানিয়েছে যে রাজ্য শিশু সুরক্ষা কমিশনের জন্য আদালতের দরজা বন্ধ নয়। অনুসন্ধানের পর যদি শিশু সুরক্ষা কমিশন নির্দিষ্ট তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে কারও গাফিলতি খুঁজে বের করতে পারত, তাহলে তাদের কাছে আদালতের দ্বারস্থ হওয়ার সুযোগ ছিল।

আদালত তার পর্যবেক্ষণে আরও জানিয়েছে, ২০০৫ সালের শিশু সুরক্ষা অধিকার আইনের আওতায় জাতীয় ও রাজ্য শিশু সুরক্ষা কমিশনের হাতে একাধিক ক্ষমতা দেওয়া আছে। শিশুদের অধিকার খর্ব হলে, তারা দ্রুত নিষ্পত্তি করতে পারেন। তদন্ত বা অনুসন্ধান করার ক্ষমতা আছে কমিশনের হাতে। কিন্তু এক্ষেত্রে রাজ্য শিশু সুরক্ষা কমিশন সে রকম কিছু করেছে বলে মনে হচ্ছে না। যখন রাজ্য শিশু সুরক্ষা কমিশনের হাতে ক্ষমতা আছে, তখন আদালত প্রত্যাশা করে যে রাজ্য শিশু সুরক্ষা কমিশন প্রথমে শিশু মৃত্যুর তদন্ত করবে এবং তারপর তাদের সুপারিশ যদি রাজ্য মেনে না নেয় সেক্ষেত্রে তারা আদালতের দ্বারস্থ হবে।

আদালত বলেছে, যে কোনও মৃত্যুই অত্যন্ত দুঃখের। শিশুরা হল দেশের সম্পদ। যখনই কোনও শিশুর অধিকার হরণ করা হবে, তখনই বিন্দুমাত্র দেরি না করে কমিশনগুলির উচিত পদক্ষেপ করা এবং উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া। সেই সঙ্গে ডিভিশন বেঞ্চ আরও জানিয়েছে, আদালত আশা করে রাজ্য শিশু সুরক্ষা কমিশনের চেয়ারপার্সন আইন, নিজের ক্ষমতা এবং কর্তব্য সম্পর্কে ওয়াকিবহাল থাকবেন এবং নিজের ক্ষমতার প্রয়োগ করে নির্দিষ্ট সুপারিশ নিয়ে তারপর আদালতের দ্বারস্থ হবেন।

Next Article