কলকাতা: ২০১৬ সালের ও ২০২০ সালের প্রাথমিকের নিয়োগের প্যানেল প্রকাশ সংক্রান্ত সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশে আংশিক সংশোধন আনল ডিভিশন বেঞ্চ। এর আগে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহার একক বেঞ্চ নির্দেশ দিয়েছিল, ওই দুই বছরের প্রাথমিক নিয়োগের গোটা প্যানেল ব্রেক-সহ প্রকাশ করার জন্য। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে গিয়েছিল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। বুধবার বিচারপতি সৌমেন সেনের ডিভিশন বেঞ্চে ওই মামলার শুনানি ছিল। নিয়োগ সংক্রান্ত ওই প্যানেলগুলি সরাসরি ওয়েবসাইটে প্রকাশ করার বদলে, সেগুলি আগে একক বেঞ্চে জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে ডিভিশন বেঞ্চ।
বিচারপতি সৌমেন সেনের ডিভিশন বেঞ্চ এদিন নির্দেশ দিয়েছে, ওই প্যানেল আগে একক বেঞ্চে জমা দিতে হবে। তারপর সেটি ওয়েবসাইটে আপলোড করা হবে কি না, সেই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে হাইকোর্টের একক বেঞ্চই। উল্লেখ্য, প্রাথমিকের যে ৯৮ জন শিক্ষক নিজেদের যোগ্যতা প্রমাণ করতে পারেননি, তাঁদের চাকরি বাতিল করার নির্দেশও দিয়েছিলেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা। সেই নির্দেশও চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে গিয়েছিল পর্ষদ। তবে সেই নির্দেশে কোনও বদল আনেনি ডিভিশন বেঞ্চ। ওই ৯৮ জনের চাকরি বাতিল সংক্রান্ত সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশই বহাল রেখেছে ডিভিশন বেঞ্চ।
প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালে প্রায় ৪২ হাজার প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগ করা হয়েছিল। এরপর ২০২০ সালে প্রায় সাড়ে ১৬ হাজারের কাছাকাছি নিয়োগপ্রার্থী প্রাথমিক শিক্ষক পদে চাকরি পান। সব মিলিয়ে সংখ্যাটা প্রায় ৫৮ হাজার। সেই নিয়োগের পূর্ণাঙ্গ ব্রেক-আপ অর্থাৎ নম্বর ডিভিশন-সহ প্যানেল প্রকাশ করতে নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা। সেই নির্দেশকেই চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে গিয়েছিল পর্ষদ। তবে ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়ে দিল, প্যানেল আগে একক বেঞ্চে জমা দিতে হবে। এরপর একক বেঞ্চই স্থির করবে তা ওয়েবসাইটে তোলা হবে কি না।