Calcutta High Court: মিথ্যে মামলা করায় জরিমানা, ওই টাকায় কী হবে তাও জানাল হাইকোর্ট
Calcutta High Court: গত ৪ জুন লোকসভা ভোটের ফল ঘোষণা হয়েছে। ১৯ এপ্রিল থেকে ১ জুন পর্যন্ত সাত দফায় রাজ্যের ৪২টি আসনে ভোটগ্রহণ হয়েছে। রাজ্যের ৪২টি আসনের মধ্যে ২৯টি আসন জিতেছে তৃণমূল। ১২টি আসন পেয়েছে বিজেপি। আর কংগ্রেস পেয়েছে একটি আসন। লোকসভা ভোটের ফল ঘোষণার পর থেকে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় ভোট পরবর্তী হিংসার অভিযোগ ওঠে।

কলকাতা: রাজ্যের দিকে দিকে ভোট পরবর্তী হিংসার অভিযোগ। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে অভিযোগের তির রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে। ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে মামলাও হয়েছে কলকাতা হাইকোর্টে। এবার ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে একটি মিথ্যা মামলায় কড়া পদক্ষেপ করলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহা। মিথ্যে মামলা দায়ের করে আদালতের সময় নষ্ট ও বিভ্রান্ত করার দায়ে মামলাকারীর ১০ হাজার টাকা জরিমানা করলেন বিচারপতি। ওই টাকা কী কাজে ব্যবহার করা হবে, তাও জানিয়ে দিলেন।
উত্তর দিনাজপুরের ইসলামপুরে এক পরিবার ভোট পরবর্তী হিংসার শিকার বলে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেছিলেন গোপা দে নামে এক মহিলা। তাঁর অভিযোগ ছিল, বিরোধী দলের কর্মী হওয়ায় শাসক দলের লোকজন ওই পরিবারকে বাড়িছাড়া করেছে। এই মামলায় একাধিক শুনানি হয়। রাজ্যের আইনজীবী সুমন সেনগুপ্ত তথ্য প্রমাণ সহ আদালতকে জানান, ওই পরিবার বাড়িতেই রয়েছে। দুই প্রতিবেশীর গন্ডগোলকে ভোট পরবর্তী হিংসা বলে চালানো হচ্ছে।
এরপরই মামলাকারী মামলা তুলে নেওয়ার আবেদন জানান। কিন্তু, আদালত প্রথমে আপত্তি জানায়। পরে ১০ হাজার টাকা জরিমানার বিনিময়ে মামলা তোলার অনুমতি দেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা। বিচারপতি নির্দেশ দেন, ওই টাকা হাইকোর্টের পুরনো বিল্ডিংয়ে মহিলা শৌচালয় নির্মাণ ও সংস্কারের জন্য ব্যবহার করতে হবে। তিনি বলেন, রেজিস্ট্রারের কাছে ওই টাকা জমা দিতে হবে। সেই টাকা মহিলা শৌচালয় নির্মাণকাজে খরচ করে আদালতকে তার ইউটিলাইজেশন সার্টিফিকেট জমা দিতে হবে।
গত ৪ জুন লোকসভা ভোটের ফল ঘোষণা হয়েছে। ১৯ এপ্রিল থেকে ১ জুন পর্যন্ত সাত দফায় রাজ্যের ৪২টি আসনে ভোটগ্রহণ হয়েছে। রাজ্যের ৪২টি আসনের মধ্যে ২৯টি আসন জিতেছে তৃণমূল। ১২টি আসন পেয়েছে বিজেপি। আর কংগ্রেস পেয়েছে একটি আসন। লোকসভা ভোটের ফল ঘোষণার পর থেকে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় ভোট পরবর্তী হিংসার অভিযোগ ওঠে। একটি মামলার পরিপ্রেক্ষিতে রাজ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনী ২৬ জুন পর্যন্ত রাখার নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। ২৬ জুনের পর অবশ্য রাজ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনী রাখার মেয়াদ বাড়ানো হয়নি। শান্তি বজায় রাখতে রাজ্য সরকারই উপযুক্ত পদক্ষেপ করবে বলে জানায় আদালত।
