কলকাতা: ভোটের পর থেকে ঘরছাড়াদের ঘরে ফেরাতে আরও কঠোর কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। আগেই কমিটি গড়ার নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। কিন্তু সেই কমিটির অগ্রগতি নিয়ে খুব একটা সন্তুষ্ট নয় আদালত। শুক্রবার ফের নতুন করে কমিটি তৈরি করার নির্দেশ দেওয়া হল। উল্লেখযোগ্য ভাবে, এই কমিটি তৈরি করবেন কেন্দ্রীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান। অর্থাৎ রাজ্য মানবাধিকার কমিশনের ভূমিকা এখানে লঘু বলেই মনে করা হচ্ছে। আপাতত যাবতীয় দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে কেন্দ্রীয় কমিশনকে। এ ক্ষেত্রে রাজ্য কেবলমাত্র লজিস্টিক সাপোর্ট দেবে। পরবর্তী শুনানি ৩০ জুন।
এদিন আদালতে ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি জানান, ভোট পরবর্তী হিংসার কথা রাজ্য সরকার স্বীকার করেনি। কিন্তু আদালতে যে অভিযোগ জমা পড়েছে তাতে ভোট পরবর্তী হিংসার প্রমাণ রয়েছে। এর আগে ঘরছাড়াদের ঘরে ফেরাতে যে কমিটি গঠন করা হয়েছিল। তাতে রাজ্য ও কেন্দ্রের মানবাধিকার কমিশন এবং রাজ্য লিগ্যাল সার্ভিস রয়েছে। কেন্দ্রের মানবাধিকার কমিশন প্রয়োজনীয় সাহায্য পায়নি। অসহযোগিতা করা হয়েছে। তাই নতুন করে অধিকার দেওয়া হল জাতীয় মানবাধিকার কমিশনকে।
এ বার কেন্দ্রের মানবাধিকার কমিশন রাজ্যের বিভিন্ন জায়গা ঘুরে দেখবে। তাদের কেবলমাত্র সাহায্য করবে রাজ্য মানবাধিকার কমিশন। সে ক্ষেত্রে সহযোগিতার ঘাটতি থাকলে সেই দায় রাজ্যকেই নিতে হবে। কেন্দ্রের মানবাধিকার কমিশন আদালতে রিপোর্ট জমা দেবে। এই নির্দেশ না মানলে আদালত অবমাননার দায়ে পড়তে হবে।
আরও পড়ুন: নারদকাণ্ডে মুখ্যমন্ত্রীর হলফনামা সংক্রান্ত আবেদনের শুনানি পিছল সুপ্রিম কোর্টে
উল্লেখ্য, এর আগে নির্বাচন পরবর্তী হিংসা নিয়ে বাংলায় সাধারণ মানুষের নিরাপত্তার দাবিতে মামলা করেছিলেন এন্টালির বিজেপি প্রার্থী প্রিয়াঙ্কা টিব্রেওয়াল। বিজেপির প্রায় ১২৫ জন ঘরছাড়া বলে হাইকোর্টে জানিয়েছিলেন তিনি। সেই মামলারই শুনানি চলাকালীন গত ৩১ মে কলকাতা হাইকোর্ট একটি কমিটি গঠন করে। নব গঠিত সেই কমিটিতে ছিলেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান, রাজ্য মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ও রাজ্যের লিগ্যাল সার্ভিসের আধিকারিক।