কলকাতা: নামখানা গণধর্ষণ মামলায় রাজ্যের হলফনামায় অসন্তোষ প্রকাশ করলেন মামলাকারী। মঙ্গলবার এই মামলার শুনানি ছিল। সেখানে প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব মামলায় নিযুক্ত দময়ন্তী সেনকে অভিযোগ খতিয়ে দেখার নির্দেশ দেন। মামলাকারীর বক্তব্য, মেডিকেলের সম্পূর্ণ রিপোর্ট নেই তদন্তে। অর্থাৎ কোনও রিপোর্ট বাদ গিয়েছে বলেই মনে করছেন তিনি। একইসঙ্গে তিনি বলেন, নির্যাতিতার জামাকাপড় ‘সিজ’ করা হলেও বেশ কিছু জিনিস এখনও তদন্তকারীরা নেননি। এরমধ্যে শাঁখা, পলা রয়েছে। মামলাকারী জানান, তাতে রক্তের নমুনা থাকলেও তা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়নি। একইসঙ্গে বলা হয়েছে, নির্যাতিতার শরীরে পোড়া দাগ ছিল। কিন্তু রিপোর্টে তার উল্লেখ নেই। যদিও রাজ্যের দাবি, এই তদন্ত আপাতত দময়ন্তী সেন করছেন। তা ছাড়া অতিরিক্ত হলফনামায় অনেক কিছুর উল্লেখ রয়েছে। দময়ন্তী সেন যাবতীয় অভিযোগ খতিয়ে দেখবেন বলেই নির্দেশ দেয় আদালত। ফের ২০ জুন শুনানি হবে।
গত ৪ এপ্রিল বছর চল্লিশের এক মহিলাকে গণধর্ষণের অভিযোগ ওঠে দক্ষিণ ২৪ পরগনার নামখানায়। এই ঘটনার পর নির্যাতিতার উপর অ্যাসিড হামলার চেষ্টা করা হয় বলেও অভিযোগ করা হয়। নির্যাতিতার অভিযোগ ছিল, অভিযুক্তরা আগে থেকে ঘরে লুকিয়ে ছিলেন। রাতে তিনি বাথরুমে যাওয়ার জন্য বেরোলে তিনজন জাপটে ধরেন। এরপরই ঘরের ভিতর ধর্ষণ করা হয় ওই বধূকে।
দময়ন্তী সেনের উপর প্রথম থেকেই এ ধরনের মামলার তদন্তে ভরসা রাখছে হাইকোর্ট। দময়ন্তী সেই আইপিএস যিনি ২০১২ সালের পার্ক স্ট্রিট ধর্ষণকাণ্ডের তদন্তে ছিলেন। সে সময় তিনি অবশ্য কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা প্রধান। যেভাবে এই ঘটনার তদন্ত প্রক্রিয়া তিনি এগিয়ে নিয়ে গিয়েছিলেন তা এখনও চর্চিত। আগেই প্রধান বিচারপতি নামখানা গণধর্ষণ মামলার গুরুত্ব বিচার করে তদন্ত দেখাশোনার দায়িত্ব দেন দুঁদে আইপিএস অফিসার দময়ন্তী সেনকে। ঠিক যেমন মাটিয়া, দেগঙ্গা, ইংরেজবাজার, বাঁশদ্রোণী ধর্ষণ মামলার নজরদারির দায়িত্ব দেওয়া হয় তাঁকে।