কলকাতা: ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় আদালতে জমা পড়ল সিট (SIT) ও সিবিআই (CBI)-এর রিপোর্ট। সোমবার মুখবন্ধ খামে রিপোর্ট জমা দেয় সিট। ৬৮৯টি মামলার মধ্যে ১০টি মামলা বাদ দিয়ে রিপোর্ট জমা দেওয়া হয়েছে। বাকি দশটির রিপোর্ট জমা দেওয়া হবে আগামী এক মাসের মধ্যে। একইসঙ্গে ১০টি মামলার তদন্তের অগ্রগতির রিপোর্ট জমা পড়েছে। বাকি ৩৮টির তদন্ত চলছে। ২৪ জানুয়ারি ফের এই মামলার শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে।
এদিন মামলাকারীদের আইনজীবী প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়াল শুনানি শুরুতেই আবারও অভিযোগ তোলেন, উত্তর ২৪ পরগনার শ্যামনগরে অনেক বিজেপি কর্মী এখনও স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারছেন না। কাজে যেতে পারছেন না তাঁরা। নানারকম হুমকির মুখে পড়তে হচ্ছে।
এর পরই এজি বলেন, যে বিষয়ে কথা বলা হচ্ছে সেটি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে ঝামেলার কথা। শ্রমিক সংগঠনের সঙ্গে সমস্যা। এই নিয়ে ব্যারাকপুরের বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিং প্রধানমন্ত্রীকে একটি চিঠিও লিখেছেন। সেখানে উনি উল্লেখ করেছেন, কর্তৃপক্ষের সঙ্গে ঝামেলার কথা।
ফের প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়াল বলেন, চিঠি ভোটের আগে লেখা হয়। পরে এলাকার তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা তাঁদের কাজে ফিরতে দেননি। মামলাকারীরা এদিন অতিরিক্ত হলফনামা দিয়ে জানান বিষয়টি। এজি জানান, বাকি ক্ষেত্রে ডিজিকে বলা হয়েছে, তিনি দায়িত্বপ্রাপ্ত অফিসারের সঙ্গে কথা বলছেন।
সিবিআইয়ের পক্ষ থেকে আইনজীবী ওয়াই জে দস্তুর এদিন আবেদন করেন, ভোট পরবর্তী হিংসা সংক্রান্ত যে সমস্ত মামলা তাঁরা চাইবেন, তা যেন সিট তাঁদের হস্তান্তরিত করে দেয়। মামলাকারীর আইনজীবী শামিম আহমেদ বলেন, হাজারের উপর কেসে এফআইআর আদৌ হয়েছে কি না তা ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়নি। সিট কী রিপোর্ট দিচ্ছে তার প্রতিলিপি দেওয়া হোক।
সিটের পক্ষ থেকে ৫৭৩টি কেসের রিপোর্ট দেওয়া হয়েছে। সিটকে আগামী শুনানির দিন বাকি কেসের তদন্ত রিপোর্ট দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে সিবিআই ৫০টি মামলার তদন্ত করেছে। এর মধ্যে দু’টি সিটকে দেওয়া হয়েছে। ১০টি মামলার তদন্ত শেষ। চার্জশিটও পেশ করা হয়ে গিয়েছে। এদিন প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তবের এজলাসে এই মামলার শুনানি হয়। রাজ্যের এজিকে নির্দেশ দেওয়া হয় তিনি যেন ঘরছাড়াদের তালিকা আদালতের হাতে তুলে দেন। উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ এই বিষয়টি তদারকি করবেন বলেও জানায় আদালত। ফের আগামী ২৪ জানুয়ারি এই মামলার শুনানি রয়েছে।
রাজ্যে ভোট পরবর্তী হিংসার মামলায় সিবিআই-কে দিয়ে তদন্ত করানোর নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। গত ১৯ অগস্ট এই মামলায় নির্দেশ দেয় পাঁচ বিচারপতির বৃহত্তম ডিভিশন বেঞ্চ। সেখানে বলা হয় খুন, অস্বাভাবিক মৃত্যু, ধর্ষণের মতো গুরুতর অপরাধের তদন্ত করবে সিবিআই এবং অপেক্ষাকৃত কম গুরুতর মামলার তদন্ত করবে সিট।
আরও পড়ুন: পিল পিল করছে কালো কালো মাথা, মুখে নেই মাস্ক! ভয় ধরাচ্ছে বাজারের চালচিত্র…