কলকাতা: প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে মামলাও দায়ের হয় কলকাতা হাইকোর্টে। কিন্তু এই মামলার ভিত্তি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে রাজ্য। এই মামলার গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে সংশয় রয়েছে রাজ্যের। মঙ্গলবার সেই মামলার শুনানি চলাকালীন রাজ্যের কাছে হলফনামা তলব করল কলকাতা হাইকোর্ট। এদিন প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব ও বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চ নির্দেশ দেয়, এক সপ্তাহের মধ্যে রাজ্যকে এই বিষয়ে হলফনামা দিয়ে জানাতে হবে। ২০১৪ সালের টেট ‘দুর্নীতি’ নিয়ে জনস্বার্থ মামলাটি দায়ের হয়েছিল। অন্যদিকে এদিন আরও একটি বিস্ফোরক অভিযোগ সামনে আসে। পরীক্ষায় পাশ না করেও ২০১৭ সাল থেকে একজন চাকরি করছেন বলে অভিযোগ ওঠে।
বিজেপি নেতা তাপস ঘোষ এই জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেন। মামলাকারীর বক্তব্য, ২০১৪ সালে টেট পরীক্ষায় দুর্নীতি হয়েছে। এমন অনেক নিয়োগ হয়েছে, যেগুলি আইন বহির্ভূত। তাঁর আইনজীবী তরুণজ্যোতি তিওয়ারি আদালতে বলেন, গত এক বছরে ছ’ দফায় ধাপে ধাপে নিয়োগ হয়েছে। একইসঙ্গে এই প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে আরেক মামলাকারী দাবি তোলেন, হুগলির এক বাসিন্দা ২০১৭ সাল থেকে চাকরি করছেন। অথচ তিনি টেটে পাশই করেননি।
যদিও রাজ্যের তরফে দাবি করা হয়, এই মামলা গ্রহণযোগ্যই নয়। রাজ্যের যুক্তি, আট বছর আগের কোনও বিষয় নিয়ে এ ভাবে জনস্বার্থ মামলা কীভাবে গ্রহণযোগ্য হতে পারে। এই নিয়োগ প্রক্রিয়া বন্ধ হয়ে গিয়েছে। যদিও পাল্টা মামলাকারীরা বলেন, ধাপে ধাপে নিয়োগ করা হচ্ছে। চলতি বছরের এপ্রিলেও চাকরি দেওয়া হয়েছে। রাজ্য জানায়, এই নিয়োগগুলি সম্পূর্ণ আলাদা। মামলাটি খারিজ করা দরকার। এরপরই প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, কেন এই মামলা গ্রহণযোগ্য নয় তা নিয়ে রাজ্যকে হলফনামা দিতে হবে। তার প্রেক্ষিতে পাল্টা হলফনামা দেবে মামলাকারীরাও। আগামী ২১ জুন এই মামলার শুনানি হবে।