কলকাতা: শুভেন্দু অধিকারীর বাড়ি কিংবা বাড়ির সামনে কোথাও ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা বসানোর ক্ষেত্রে তাঁর মতকেই প্রাধান্য দিতে হবে। সোমবার শুভেন্দুর নিরাপত্তা সংক্রান্ত মামলার শুনানিতে এমনই নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। এদিন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা বলেন, শুভেন্দু অধিকারীর বাড়িতে কিংবা বাড়ির বাইরে যেখানে শুভেন্দু অধিকারী বলবেন সেখানেই পুলিশকে সিসি ক্যামেরা লাগাতে হবে। পুলিশ নিজের ইচ্ছা মতো এই ক্যামেরা লাগাতে পারবে না। কিছুদিন আগেই আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর বক্তব্য ছিল, তিনি যেখানেই কোনও কর্মসূচিতে যান, তৃণমূলের লোকজন তাঁকে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করে। পুলিশের ভূমিকাও এক্ষেত্রে সদর্থক নয় বলেই দাবি করেন তিনি। একইসঙ্গে তাঁর বাড়ির সামনেও নজরদারি চালানো, শান্তিকুঞ্জের উপর ড্রোন ওড়ানোর অভিযোগ ওঠে। সব মিলিয়ে শুভেন্দু ও অধিকারী পরিবারের নিরাপত্তা নিয়ে জোরাল হয় সওয়াল। এরপরই ঠিক হয় শুভেন্দুর বাড়ির সামনে ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা বসানো হবে। কিন্তু এই ক্যামেরা বসানো নিয়ে নতুন করে তৈরি হয় জটিলতা। ফের আদালতের দ্বারস্থ হন নন্দীগ্রামের বিধায়ক।
শুভেন্দু অধিকারীর বক্তব্য ছিল, এমনভাবে তাঁর বাড়ির সামনে সিসিক্যামেরা লাগানো হচ্ছে যা তাঁর ব্যক্তিগত পরিসরে ঢুকে পড়ার চেষ্টার সমান। শুভেন্দুর ঘরের সামনে এই ক্যামেরা বসানো হয় বলে অভিযোগ তোলেন তিনি। যা তাঁর ব্যক্তিগত জীবনে হস্তক্ষেপের শামিল। এমনকী অনেক রাত অবধি তাঁর বাড়ির সামনে মাইক চালানো হয় বলেও অভিযোগ।
এদিন শুনানি চলাকালীন রাজ্যের তরফে বলা হয়, একসময় মামলাকারী বলেছিলেন নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। তাই তাঁর বাড়ির সামনে সিসিটিভি বসানো হয়। এবার যখন সিসিটিভি বসানো হল তাতেও সমস্যার কথা বলছেন। তবে আদালতের পর্যবেক্ষণ, এই অভিযোগ যখন উঠছে তখন জায়গা বুঝেই ক্যামেরা বসাতে হবে। এ ক্ষেত্রে শুভেন্দু অধিকারী যেখানে চাইবেন সেখানেই ক্যামেরা বসানোর নির্দেশ দেন বিচারপতি।