কলকাতা: বেআইনি পার্কিং মামলা নিয়ে বিরক্ত প্রধান বিচারপতি টি এস শিবজ্ঞানম। ‘ইচ্ছা থাকলেই উপায় হয়। দেখতে হবে এই ইচ্ছেটা কোন ধরনের। অফিসিয়াল না রাজনৈতিক?’ মন্তব্য প্রধান বিচারপতির। বস্তুত, বিধান নগরের একটি বেআইনি পার্কিং নিয়ে মামলা হয়েছিল। সঞ্জীব সিনহা চৌধুরী নামে এক জনৈক ব্যক্তি মামলা করেন। তাঁর অভিযোগ ছিল, বিধাননগরে বেয়াইনি পার্কিং চলছে। যারা পার্কিং-এর টাকা নিচ্ছেন তাদের পরিচয়পত্র থাকতে হবে। সেই মামলায় মন্তব্য করতে গিয়ে বিচারপতি বলেন, “কোনও নির্দেশই সাহায্য করতে পারে না, যদি কিছু করার ইচ্ছে না থাকে।”
শুধু তাই নয়, বৃহস্পতিবার এই মামলায় পুরনো বাস চালানো নিয়েও উষ্মা প্রকাশ করেন প্রধান বিচারপতি। বলেন, “যে বাসগুলি ফেলে দেওয়া উচিত সেগুলো আপনারা চালাচ্ছেন। আর সেটা শুধু ওই ড্রাইভার বা কনডাক্টর নয় যাত্রীদের জন্যে বিপজ্জনক হয়ে উঠছে। কোথায় পরিবর্তন হচ্ছে? নিজেদের মানসিকতার পরিবর্তন করুন। বাসের ভাড়া কবে রিভাইস করেছেন? বছর কুড়ি আগে? বাস মালিকরা খরচ বাঁচাতে কেরোসিন বা বাজে তেল ব্যবহার করেন। কবে পরিবর্তন হবে?” প্রশ্ন প্রধান বিচারপতির।
এ দিন, প্রধান বিচারপতি তাঁর নির্দেশে উল্লেখ করেন ,”পার্কিং-এর সমস্যা একটা জায়গার নয় এ রাজ্যের সব শহরে একই অবস্থা। পুরসভার কোনও সদিচ্ছা না থাকলে এটা সমাধান করা সম্ভব নয়। ফ্রি পার্কি জায়গা আর নো পার্কিং এগুলো নোটিফাই করা প্রয়োজন। তবে বিজ্ঞপ্তির কোনও গুরুত্ব নেই যদি পুরসভা নিজেই সেটা না মানে।”
প্রধান বিচারপতি এও বলেন, “সাধারণ মানুষের ভোগান্তি না বাড়িয়ে না করে এগুলো করুন।” বিধান নগর কমিশনারকে নির্দেশ, “বেয়াইনি পার্কিং নিয়ে দ্রুত টেন্ডারের কাজ শেষ করবেন। হোর্ডিং ইত্যাদি বিষয়ে তথ্য ওয়েবসাইটে দিতে হবে।” এরপর রাজ্য জানায়,”টেন্ডার ডাকা হয়েছে। মামলাকারীর অভিযোগ থাকলে সেটা জানাতে পারেন।” প্রধান বিচারপতি মন্তব্য করেন,”আপনারা কাজ করুন। আপনার চেয়ারম্যান নির্বাচিত তিনি সব সুবিধা পাবেন আর জনগণ আসবেন আদালতে?”