কলকাতা: দিল্লি হাইকোর্টের বিচারপতি দীনেশ কুমার শর্মাকে কলকাতা হাইকোর্টে বদলি। তার প্রতিবাদে কলকাতা হাইকোর্টের আইনজীবীরা। সুপ্রিম কোর্টের কলেজিয়ামের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে দিনভর কাজে যোগ না দেওয়ার হুঁশিয়ারি আইনজীবীদের। বিকাল ৩.৩০ পর্যন্ত বিচারপ্রক্রিয়ায় অংশ না নেওয়ার সিদ্ধান্ত। তাঁদের অভিযোগ, হাইকোর্টের সুনাম ও গরিমা নষ্ট হচ্ছে। কলকাতা হাইকোর্টের বার অ্যাসোসিয়েশন ও বার কাউন্সিল অফ ইন্ডিয়া, বার লাইব্রেরি প্রতিবাদে সামিল হয়েছেন। তাঁদের অভিযোগ, যে বিচারপতির বদলি হয়ে আসার কথা রয়েছে, ওয়েবসাইট খুললেই তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক অনৈতিক কাজে যুক্ত থাকার অভিযোগ প্রতীয়মান। আইনজীবীদের প্রশ্ন, তাহলে কি কলকাতা হাইকোর্ট ডাম্পিং গ্রাউন্ড?
আইনজীবীদের অভিযোগ , যে বিচারপতির বিরুদ্ধে অনৈতিকতার অভিযোগ আছে, তাঁকে কেন কলকাতা হাইকোর্টে বদলি করা হচ্ছে ? এর ফলে কলকাতা হাইকোর্টের সুনাম এবং গরিমা ক্ষুণ্ণ হচ্ছে। অবিলম্বে এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের আর্জি জানিয়েছেন তাঁরা। মঙ্গলবার টোকেন প্রতিবাদে সামিল তাঁরা। আবেদন না মানলে আরও বড় পদক্ষেপ করা হবে বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা৷
বিচারপতি যশবন্ত বর্মার বিষয়টিও তুলে ধরেন প্রতিবাদী আইনজীবীরা। এ প্রসঙ্গে বার অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক শঙ্কর প্রসাদ দলপতি বলেন, ” বিচারপতি যশবন্ত বর্মা এলাহাবাদ আদালতেরই বিচারপতি ছিলেন। তাঁর পেরেন্ট কোর্টই ফেরত নিতে চাইছে না। তাহলে এরকম একজন টেম্পটেড জজকে আমরা কেন নেব? আমাদের কলকাতা হাইকোর্টের দুর্নাম হবে। আর ওঁনাকে তো রুটিন বদলি করা হচ্ছে না, একটা নির্দিষ্ট কারণেই বদলি করা হচ্ছে।”
এর আগে সুপ্রিম কোর্টের মহামান্য প্রধান বিচারপতিকেও এই মর্মে চিঠি পাঠায় আইনজীবীদের তিনটি সংগঠন। এই ইস্যুতে লোকসভায় সরব কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ও। সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “এই অসৎ বিচারপতি, যাঁদের নিয়ে একাধিক প্রশ্ন রয়েছে, মাত্র এক-দেড় বছর চাকরি রয়েছে, তাঁদের কেন বারবার কলকাতা হাইকোর্টে বদলি করা হবে? কলকাতা হাইকোর্টকে ডাম্পিং গ্রাউন্ড কেন করা হবে? তার থেকে ভাল, আমাদের কলকাতা হাইকোর্টের যে সমস্ত বিচারপতিদের বদলি করা হয়েছে, তাঁদেরকে ফিরিয়ে দাও। আমরা অসৎ বিচারপতিদের নেব না।”