কলকাতা: বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার (Justice Rajasekhar Mantha) এজলাস বয়কটের ঘটনায় পুলিশি রিপোর্টে সন্তুষ্ট নয় আদালত। যেভাবে উদ্যোগী হয়ে স্বতঃস্ফূর্ত হয়ে তদন্ত করা উচিৎ ছিল, তা হয়নি। বুধবার এমনই মন্তব্য করলেন বিচারপতি টি এস শিবগ্ননম। বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার বাড়িতে কারা পোস্টার সাঁটিয়েছিল, তা স্পষ্ট জানাতে পারেনি পুলিশ। একইসঙ্গে কোন ছাপাখানায় ওই পোস্টার ছাপা হয়েছিল, তাও জানতে পারেনি পুলিশ। এমন অবস্থায় পুলিশকে অতিরিক্ত সময় দেওয়া হল নতুন করে রিপোর্ট জমা দেওয়ার জন্য। এদিন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি টি এস শিবগ্ননম, বিচারপতি আইপি মুখোপাধ্যায় ও বিচারপতি চিত্তরঞ্জন দাসের বেঞ্চে এই মামলার শুনানি ছিল।
প্রসঙ্গত, এদিন মুখবন্ধ খামে পুলিশের তরফে রিপোর্ট জমা দেওয়া হয় আদালতে। বিচারপতির বাড়িতে পোস্টার সেঁটেছে এমন ছয়জন সন্দেহভাজনের নাম দেওয়া হয়েছে পুলিশের তরফে। তবে আদালতের বাইরে কারা বিক্ষোভ করেছে সেটা স্পষ্ট নয়। ভিডিয়ো পরিস্কার আসেনি বলে দাবি কমিশনারের। তিনি আরও জানিয়েছেন, সাতটি জায়গার সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়েছে। কলকাতায় ২৫০টিরও বেশি ছাপাখানা রয়েছে। তার মধ্যে ৩৯টি ছাপাখানার মালিককে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। এর পাশাপাশি পোস্টারের কালি ও কাগজ সিএফএসএল ল্যাবরেটরিতেও পাঠানো হয়েছিল বলে জানান তিনি। তবে সেখান থেকে জানানো হয়েছে, এই পরীক্ষার জন্য পরিকাঠামো তাদের কাছে নেই।
এদিন বিচারপতি শিবগ্ননম আরও বলেন, ‘আইনজীবীরা বলেছিলেন তাঁরা প্রতিবাদ করতে পারেন। তাহলে দেখা যাক তাঁরা দায়িত্ব নিয়ে সামনে আসেন কি না। এটা কোনও জেসচার হতে পারে না। বার ইস্যুভিত্তিক প্রতিবাদ করতেই পারে। কিন্তু এখানে বিচারপতিকে যেভাবে আক্রমণ করা হয়েছে সেটা অনভিপ্রত। কেন সরকারি আইনজীবীরা বিচারপতি রাজা শেখর মান্থার ঘরে মামলায় আসছেন না। এটা বাজে ট্রেন্ড।’ বিচারপতি আইপি মুখোপাধ্যায়ও বলেন, কারা পোস্টার ছাপাল এবং বিক্ষোভ দেখাল, তা চিহ্নিত করা জরুরি। পুলিশ রিপোর্টে জানিয়েছিল মুখে মাস্ক থাকার জন্য চিহ্নিত করা সম্ভব হয়নি। তিন বিচারপতির বেঞ্চ এদিন জানিয়ে দেয়, এই রিপোর্টে তাঁরা সন্তুষ্ট নন। চিহ্নিত করা উচিৎ, কোথা থেকে ছাপা হয়েছিল এবং কারা পোস্টার সাঁটালো।