Justice Abhijit Ganguly: ‘উনি জঙ্গি নাকি, চাকরি দিচ্ছেন না?’, কেন এমন বললেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়
Calcutta High Court: শিলিগুড়ির অনামিকা রায়কে চাকরির নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। কিন্তু অনামিকা এখনও চাকরি না পাওয়ায় বিচারপতি বিরক্ত হয়ে বললেন, 'মামলা অনন্তনাগে পাঠিয়ে দেব। উনি জঙ্গি নাকি চাকরি দিচ্ছেন না?'
কলকাতা: উপত্যকায় জঙ্গিনিধন অভিযান চালাচ্ছে ভারতীয় সেনা। গত কয়েকদিন ধরে নজরে কাশ্মীরের অনন্তনাগ। এবার সেই অনন্তনাগের প্রসঙ্গ উঠে এল হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসেও। শিলিগুড়ির অনামিকা রায়কে চাকরির নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। কিন্তু অনামিকা এখনও চাকরি না পাওয়ায় বিচারপতি বিরক্ত হয়ে বললেন, ‘মামলা অনন্তনাগে পাঠিয়ে দেব। উনি জঙ্গি নাকি চাকরি দিচ্ছেন না?’
কিন্ত কেন হঠাৎ বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে উঠে এল অনন্তনাগের প্রসঙ্গ? হাইকোর্টের নির্দেশের পর এখনও চাকরি না মেলায় সেই নিয়ে আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিলেন চাকরিপ্রার্থী অনামিকা রায়। সোমবার সেই মামলার শুনানির চলছিল বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে।
রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী পরেশ অধিকারীর-কন্যা অঙ্কিতার চাকরি প্রথমে পেয়েছিলেন ববিতা সরকার। কিন্তু পরবর্তীতে সেই চাকরির নতুন দাবিদার উঠে আসেন। শিলিগুড়ির অনামিকা রায়। আদালত পরে ববিতার চাকরি বাতিল করে অনামিকাকে চাকরির নির্দেশ দেয়। চলতি বছরের মে মাসের মাঝামাঝি সময়ে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের একক বেঞ্চ সেই নির্দেশ দিয়েছিল। কিন্তু এখনও নিয়োগ মেলেনি ববিতার হাত ঘুরে পরেশকন্যার চাকরির দাবিদার শিলিগুড়ির অনামিকার। আর তাতেই বেজায় অসন্তুষ্ট বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।
কেন এখনও অনামিকা চাকরি পাননি, তা জানতে শিলিগুড়ির পুলিশ কমিশনারেটের থেকে রিপোর্ট তলব করেছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। আগামিকাল (মঙ্গলবার) দুপুর ১২টা পর্যন্ত সময় দিয়েছেন তিনি। তার মধ্যে রিপোর্ট না এসে পৌঁছলে, পরবর্তী পদক্ষেপের হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন তিনি।
প্রসঙ্গত, এদিন আদালতে শুনানিপর্বে মধ্য শিক্ষা পর্ষদের তরফে আদালতে জানানো হয়, পুলিশ ভেরিফিকেশন হয়নি। সেই কারণেই নিয়োগপত্র দেওয়া সম্ভব হয়নি। যদিও অনামিকার দাবি,পুলিশ ভেরিফিকেশনের রিপোর্ট পর্ষদের কাছে পৌঁছে গেলেও কোনও এক অজানা কারণে নিয়োগপত্র তাঁর কাছে আসেনি। পর্ষদ আদালতে যে দাবি করছে পুলিশ ভেরিফিকেশন না হওয়ার বিষয়ে, সেটিও সঠিক নয় বলেই দাবি অনামিকার।
এমন অবস্থায় তাই বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় শিলিগুড়ির পুলিশ কমিশনারেটের থেকে রিপোর্ট চেয়ে পাঠালেন। আগামিকাল দুপুর ১২টার মধ্যে রিপোর্ট জমা হওয়ার পর, বিকেল ৩টের সময় এই মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে। রিপোর্ট না এসে পৌঁছলে তদন্ত করানো হবে বলেও জানিয়েছেন বিচারপতি।