Primary Recruitment Case: প্রাথমিকে ৫৩ জনকে পুনরায় বরখাস্ত করার নির্দেশ হাইকোর্টের

TV9 Bangla Digital | Edited By: তন্নিষ্ঠা ভাণ্ডারী

Dec 23, 2022 | 2:44 PM

Primary Recruitment Case: যাঁদের বরখাস্ত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল, তাঁদের কাছে নথি দেখতে চেয়েছিলেন বিচারপতি। সে সব খতিয়ে দেখেই পুনরায় বরখাস্ত করার নির্দেশ দিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়।

Primary Recruitment Case: প্রাথমিকে ৫৩ জনকে পুনরায় বরখাস্ত করার নির্দেশ হাইকোর্টের
কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।

Follow Us

কলকাতা : প্রাথমিকে ফের চাকরি গেল ৫৩ জনের। শিক্ষক নিয়োগ সংক্রান্ত মামলায় আগেই তাঁদের বরখাস্ত করার নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। এবার তাঁদের নথিপত্র খতিয়ে দেখে ফের বরখাস্ত করার নির্দেশ দিলেন হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Abhijit Ganguly)। এর আগে প্রাথমিকে নিয়োগে বেনিয়মের অভিযোগে মোট ২৬৯ জনকে বরখাস্ত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। হাইকোর্টের সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন ওই ২৬৯ জন। তাঁদের বক্তব্য শোনার নির্দেশ দিয়েছল শীর্ষ আদালত। সেই প্রক্রিয়া শুক্রবারই শুরু হয় হাইকোর্টে। প্রথম দিনই ৫৩ জনকে বরখাস্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি। আগামিদিনে বাকিরা চাকরি বাঁচাতে পারবেন কি না, সেই প্রশ্ন রয়ে যাচ্ছে।

সুপ্রিম কোর্ট বক্তব্য শোনার নির্দেশ দেওয়ার পর ওই চাকরি প্রার্থীদের কাছ থেকে মূলত নথিপত্র চাওয়া হয়। সুপারিশ পত্র বা কাজে যোগ দেওয়ার চিঠি তাঁদের কাছে আছে কি না, তা জানতে চায় আদালত। এদিন তাঁরা হলফনামা দিয়ে নিজেদের বক্তব্য জানান হাইকোর্টে। শুক্রবার ৫৪ জন হলফনামা জমা দেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের একক বেঞ্চে। আদালত বক্তব্য খতিয়ে দেখে ৫৩ জনের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দেয়। এক জনকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

যে ২৬৯ জনকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছিল, তাঁরা চার বছরের বেশি সময় ধরে কর্মরত ছিলেন। কিন্তু আবেদনকারীদের বক্তব্য় ছিল, মামলায় তাঁদের ‘পার্টি’ করা হয়নি। অর্থাৎ বক্তব্য জানানোর সুযোগ পাননি তাঁরা। এভাবে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা আইনানুগ নয় বলেই নির্দেশনামায় উল্লেখ করেছিল শীর্ষ আদালত। কীসের ভিত্তিতে তাদের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল, তাও জানতে চেয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। শীর্ষ আদালতের সেই নির্দেশমতো এই পদক্ষেপ করা হয় আদালতের তরফে। বাড়তি ১ নম্বর নিয়েই মূল অভিযোগ ছিল এই মামলায়। এদিনও সেই ১ নম্বর কোথা থেকে পেলেন, তা জানতে চান বিচারপতি।

Next Article