AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Justice Abhijit Ganguly: দিদি একা সামলাতে পারছেন না: বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়

Justice Abhijit Ganguly: বিচারপতি বলেন, 'লজ্জার বিষয় এটাই যে এখনও তিনি বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দেননি। ফিরে এসে আবার এসব শুরু করবেন।'

Justice Abhijit Ganguly: দিদি একা সামলাতে পারছেন না: বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়
হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।
| Edited By: | Updated on: Feb 01, 2023 | 5:09 PM
Share

কলকাতা: নিয়োগ দুর্নীতির (Recruitment Scam) তদন্তে নেমে চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে সিবিআইয়ের (CBI) হাতে। মানিক ভট্টাচার্যের (Manik Bhattacharya) নামে দুটি বৈধ পাসপোর্ট পাওয়া গিয়েছে বলে এদিন হাইকোর্টে জানিয়েছে সিবিআই। আর এমন কথা শুনে বিস্মিত বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Abhijit Ganguly)। কীভাবে এমন ঘটনা ঘটল, তা জানতে চান তিনি। সেই সঙ্গে বিচারপতির আরও মন্তব্য, ‘দিদি একা সামলাতে পারছেন না। এত দুর্বৃত্ত চারপাশে থাকলে সামলাবেন কী করে?’ মানিক ভট্টাচার্যের জোড়া পাসপোর্টের সন্ধান পাওয়া নিয়ে বিচারপতি বলেন, ‘লজ্জার বিষয় এটাই যে এখনও তিনি বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দেননি। ফিরে এসে আবার এসব শুরু করবেন।’

প্রসঙ্গত, এদিন যখন আদালতে মানিক ভট্টাচার্যের জোড়া পাসপোর্টের বিষয়ে সিবিআইয়ের তরফে জানানো হয়, তখন বিচারপতি প্রশ্ন করেন, লন্ডনে মানিকবাবু কতবার গিয়েছেন, সেখানে কোথায় থাকেন, সেই সব খবর সিবিআই জানে কি না। এরপর নিজেই বলেন, তিনি জানেন সেই সব। শুধু তাই নয়, লন্ডনে কার বাড়ির পাশে মানিক থাকেন, সেটিও জানেন তিনি। বিচারপতি বলেন, ‘লন্ডনে তাঁর বাড়ির পাশে এমন একজনের বাড়ি আছে, যিনিও একজন রাজনৈতিক নেতা।’ বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের প্রশ্ন, রাজ্যটা কি এভাবে নষ্ট হয়ে যাবে? এরপর নিজেই বলেন, ‘ভূপেন হাজারিকার একটা গান রয়েছে না… হাজার টাকার বাগান খাইলো পাঁচ সিকার ছাগলে, এটাই হবে?’

উল্লেখ্য, রাজ্যে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত একাধিক মামলা চলছে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্য়ায়ের একক বেঞ্চে। অতীতে, নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত মামলায় একাধিক গুরুত্বপূর্ণ মন্তব্য ও পর্যবেক্ষণ করেছেন তিনি। সেই নিয়ে যথেষ্ট শোরগোলও পড়ে গিয়েছে রাজ্য রাজনীতির অন্দরমহলে। এবার মানিক ভট্টাচার্যের জোড়া পাসপোর্টের কথা শুনে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের এই মন্তব্যের পরও আইনজীবী মহলে শোরগোল পড়ে গিয়েছে।

আইনজীবী তরুণজ্যোতি তিওয়ারি বলছেন, ‘২০১১ সালে বাম শাসকের অবসান ঘটিয়ে এই সরকার ক্ষমতায় এল। কিন্তু ২০১৬ সালে যখন এই সরকার আবার দুর্নীতির চাদরে মুড়ে গেল, তখন মুখ্যমন্ত্রীকে বলতে হল – আগে জানতে টিকিট দিতাম না। আবার এখন যখন ইস্যুগুলি সামনে আসছে, তখন মুখ্যমন্ত্রী অদ্ভুতভাবে চুপ করে রয়েছেন। চুপ করে থাকার কারণ কী? মুখ্যমন্ত্রী কোনও কথা বলছেন না কেন?’

বিশিষ্ট আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্যও বলছেন, ‘বিচারপতির সঙ্গে আমি সহমত নই। দিদিমণি নিজেই দুর্বৃত্ত। আমি বহুদিন ধরে বলে আসছি। চারপাশে দুর্বত্তরা থাকবেনই তো। কারণ, ওনার সহযোগী শক্তি সবই তো দুর্বৃত্ত। বিচারপতি বলতে একটু ভুল করে ফেলেছেন।’