Kanthi Crematorium Corruption: সৌমেন্দুর বিরুদ্ধে হওয়া দুর্নীতির মামলা থেকে সরে দাঁড়ালেন বিচারপতি

TV9 Bangla Digital | Edited By: অরিজিৎ দে

Jul 18, 2022 | 7:25 PM

Kanthi Crematorium Corruption: কোটি কোটি টাকা দিয়ে বেআইনিভাবে স্টল তৈরি করা হয়েছে বলে অভিযোগ সৌমেন্দুর বিরুদ্ধে।

Kanthi Crematorium Corruption: সৌমেন্দুর বিরুদ্ধে হওয়া দুর্নীতির মামলা থেকে সরে দাঁড়ালেন বিচারপতি
সৌমেন্দু অধিকারী

Follow Us

কলকাতা: শ্মশান দুর্নীতি সংক্রান্ত মামলা থেকে সরে দাঁড়ালেন বিচারপতি বিবেক চৌধুরী। যে মামলায় কাঁথি পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান তথা বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর ভাই সৌমেন্দু অধিকারীর নাম জড়িয়েছে। সোমবার সেই মামলা থেকেই সরে দাঁড়ানোর কথা জানালেন বিচারপতি। ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়েই সরে দাঁড়িয়েছেন তিনি। পুরসভার কাছেই কাঁথির শ্মশানের জমিতে কিছু স্টল নির্মাণ করেছিলেন সৌমেন্দু অধিকারী। সেখানেই কয়েক কোটি টাকা দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে সৌমেন্দুর বিরুদ্ধে।

শুধুমাত্র শ্মশান দুর্নীতির মামলা নয়, অধিকারী পরিবারের আরও একটি মামলা থেকেও অব্যাহতি নিয়েছেন বিচারপতি বিবেক চৌধুরী। ওই মামলা ছিল বাতিস্তম্ভ সংক্রান্ত। এবার ওই দুই মামলা প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তবের কাছে যাবে। তারপর নির্ধারিত হবে পরবর্তী কোন বেঞ্চে যাবে এই মামলা।

ওই স্টল নির্মাণের ক্ষেত্রে বেনিয়ম হয়েছিল বলে অভিযোগ উঠেছে পুরপ্রধান সৌমেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে। এ ছাড়া ইঞ্জিনিয়ার ও ঠিকাদারের নামও জড়ায় এই মামলায়। পুরপ্রধান সুবল কুমার মান্না সৌমেন্দুর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছিলেন। চলতি বছরের ২৯ জুন কাঁথি থানায় এই সংক্রান্ত লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়। ঠিকাদার সতিনাথ দাস অধিকারী ও কাঁথি পুরসভার সহকারী ইঞ্জিনিয়ার দিলীপ বেরাকে ইতিমধ্যে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ওই ঘটনার পর থেকেই সৌমেন্দু অধিকারীর কোনও খোঁজ নেই বলে অভিযোগ।

সম্প্রতি এই দুর্নীতির পুলিশ গ্রেফতার করেছে সৌমেন্দু অধিকারীর গাড়ির চালক গোপাল সিং-কে। তিনি কাঁথি শহরের আঠিলাগড়ি গ্রামের বাসিন্দা বলে জানা গিয়েছে।

কাঁথি পুরসভার চেয়ারম্যান সুবল মান্নার দাবি, যে জমিতে স্টল বানানো হয়েছে, তার চরিত্র বদলের জন্য কোনও অনুমতি দেওয়া হয়নি পুরসভার তরফে। এমনকি কোনও বৈঠকও হয়নি এ ব্যাপারে। সৌমেন্দুর বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি নাকি দোকান বানিয়ে দেওয়ার নাম করে ব্যক্তিগত ভাবে প্রায় এক কোটি নিয়েছেন দোকান মালিকদের কাছ থেকে। সেই টাকা কারও পকেটে গিয়েছে নাকি পুরসভার কোষাগারে, সেটাই প্রশ্ন।

Next Article