Saradha Scam: সারদার সম্পত্তি বেচে আমানতকারীদের টাকা দেবে কমিটি, আশা জাগিয়ে জানাল আদালত

Saradha Chit Fund: সোমবার বিচারপতি ইন্দ্র প্রসন্ন মুখোপাধ্যায় ও বিচারপতি শুভেন্দু সামন্তর ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশ, যে সব সম্পত্তি এখনও বিভিন্ন সংস্থার হাতে আছে, ওই কমিটি সেই সব সেবি-র (SEBI) মাধ্যমে বিক্রি করবে। তারাই আমানতকারীদের টাকা ফেরতে পদক্ষেপ করবে।

Saradha Scam: সারদার সম্পত্তি বেচে আমানতকারীদের টাকা দেবে কমিটি, আশা জাগিয়ে জানাল আদালত
কী নির্দেশ দিল হাইকোর্ট?

| Edited By: Soumya Saha

Jun 27, 2022 | 5:21 PM

কলকাতা : শ্যামল সেন কমিশন বন্ধ হওয়ার পর সারদার প্রতারিত আমানতকারীদের টাকা ফেরানোর নতুন আশা জাগল কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে। সারদার মামলা হাইকোর্ট পাঠাল অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি শৈলেন্দ্র প্রসাদ তালুকদার কমিটির হাতে। একইসঙ্গে সিবিআই, ইডি, রাজ্য সহ যত সংস্থার কাছে সারদার যত টাকা ও সম্পত্তি আছে, সেই সব তালুকদার কমিটির হাতে তুলে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। সোমবার বিচারপতি ইন্দ্র প্রসন্ন মুখোপাধ্যায় ও বিচারপতি শুভেন্দু সামন্তর ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশ, যে সব সম্পত্তি এখনও বিভিন্ন সংস্থার হাতে আছে, ওই কমিটি সেই সব সেবি-র (SEBI) মাধ্যমে বিক্রি করবে। তারাই আমানতকারীদের টাকা ফেরতে পদক্ষেপ করবে।

উল্লেখ্য, এর আগে ৫০০ কোটির তহবিল গড়ার ঘোষণা করে শ্যামল সেন কমিটির কাছে রাজ্য ২৮৭ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ বাবদ দেওয়ার জন্য দিয়েছিল। আমানতকারীদের আইনজীবী শুভাশিস চক্রবর্তী ও অরিন্দম দাস সোমবার আদালতে জানান, তার মধ্যে ১৪০ কোটি টাকা এখনও পরে রয়েছে। ফলে অন্য সংস্থার সঙ্গে রাজ্য ওই টাকাও কমিটির হাতে দিক।

প্রসঙ্গত, সারদা চিট ফান্ড কাণ্ডে বহু মানুষ প্রতারিত হয়ে সর্বস্বান্ত হয়েছে। ঘটনার পর প্রায় নয় বছর অতিক্রান্ত। কিন্তু এখনও প্রতারিত আমানতকারীদের টাকা সম্পূর্ণভাবে ফেরত দেওয়া যায়নি। কবে ফেরত পাবেন সেই টাকা? আদৌ কি ফেরত পাওয়া যাবে? এমন অনেক দুশ্চিন্তা নিয়েই এখনও দিন কাটাচ্ছেন বহু আমানতকারী। এবার সেই প্রতারিত আমানতকারীদের জন্য কিছুটা হলেও আশার আলো জাগছে। অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি শৈলেন্দ্র প্রসাদ তালুকাদারে নেতৃত্বাধীন কমিটির হাতে দায়িত্ব দিল হাইকোর্ট।

সারদা কেলেঙ্কারির ঘটনায় ইতিমধ্যেই বেশ কিছু পদক্ষেপ করেছে সেবি (সিকিউরিটিজ় অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ বোর্ড অব ইন্ডিয়া)। চলতি বছরেরই এপ্রিল মাসে কেন্দ্রীয় সংস্থার তরফে জানানো হয়েছিল, তারা সারদা গোষ্ঠীর সাতটি সম্পত্তি একত্রিত করেছে এবং সেগুলি বিক্রি করেছে। ওই সাতটি সম্পত্তির মূল্য ছিল ৬৯ লাখ ৩৮ হাজার ৭৯৫ টাকা। কিন্তু ওই সাতটি সম্পত্তি নিলামে ওঠার পর তা বিক্রি করে মোট ১ কোটি ৩৩ লাখ ৭১ হাজার ১৩৫ টাকা পাওয়া গিয়েছে।