Lalan Sheikh: জবানবন্দি নেওয়া হয়নি, কল রেকর্ড নেই, লালন-মামলায় CID তদন্তে অসন্তুষ্ট হাইকোর্ট

TV9 Bangla Digital | Edited By: তন্নিষ্ঠা ভাণ্ডারী

Dec 23, 2022 | 2:53 PM

Lalan Sheikh: সিবিআই হেফাজতে লালন শেখের মৃত্যু ঘিরে প্রশ্ন ওঠে। ম্যাজিস্ট্রেটের নজরদারিতে বর্তমানে সেই মামলার তদন্ত করছে সিআইডি।

Lalan Sheikh: জবানবন্দি নেওয়া হয়নি, কল রেকর্ড নেই, লালন-মামলায় CID তদন্তে অসন্তুষ্ট হাইকোর্ট
কলকাতা হাইকোর্টে লালন মামলা

Follow Us

কলকাতা : লালন শেখের মৃত্যু মামলায় সিআইডি তদন্তে তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। এখনও পর্যন্ত যা তদন্ত হয়েছে তাতে অসন্তোষ প্রকাশ করে ডিআইডি সিআইডি (CID)-কে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। শুক্রবার ছিল সেই মামলার শুনানি। এখনও পর্যন্ত কেন লালন শেখের স্ত্রীর বয়ান নেওয়া হয়নি, সেই প্রশ্ন তুলেছেন বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত। এদিন এই মামলায় হলফনামা জমা দিয়েছে সিবিআই। কেন্দ্রীয় সংস্থার দাবি, যে ভাবে রাজ্যের দায়িত্বে ময়নাতদন্ত করা হয়েছে, তা সন্দেহজনক। রামপুরহাটে সিবিআই-এর অস্থায়ী ক্যাম্পে মৃত্যু হয় লালন শেখের। তাঁর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করা হয়েছিল। আদালতের নির্দেশে বর্তমানে ম্যাজিস্ট্রেটের নজরদারিতে লালন শেখের মৃত্যু নিয়ে তদন্ত চলছে। সিবিআই-এর বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ তুলেছেন লালনের স্ত্রী।

আরও ভালোভাবে হওয়া উচিৎ বলে মন্তব্য করেন বিচারপতি। বিচারপতি জানতে চান, লালনের স্ত্রী, যিনি গুরুতর অভিযোগ করেছেন, তাঁর বয়ান কি নেওয়া হয়েছে? রাজ্য জানায় ওঁর মানসিক অবস্থা ভাল নেই, তাই জবানবন্দি নেওয়া হয়নি। এ কথা শুনে বিচারপতি বিরক্ত হন, গত দুদিন ধরে হাইকোর্টে যাচ্ছেন লালনের স্ত্রী। সে কথা উল্লেখ করে বিচারপতি বলেন, ‘মানসিক অবস্থা খারাপ হলে আদালতে আসছেন কীভাবে?’

এফআইআরে সিবিআই অফিসারদের ফোন নম্বরও উল্লেখ করেছিলেন লালনের স্ত্রী। কীভাবে সেই ফোন নম্বর পাওয়া গেল, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে বিচারপতি উল্লেখ করেছেন, এই বিষয়েও তদন্ত হওয়া প্রয়োজন। এছাড়া ফোনে হুমকি পেয়েছিলেন বলে দাবি করেছিলেন লালনের স্ত্রী। বিচারপতি জানতে চান, সেই কল রেকর্ড গোয়েন্দারা চেয়েছেন কি না। সেই রেকর্ড চাওয়া হয়নি শুনেও বিরক্ত হন বিচারপতি।

সিবিআই-এর আইনজীবী ডি পি সিং বলেন, ‘এফআইআর দেখে স্পষ্ট যে এটা রাজ্য করিয়েছে।’ তিনি জানান, ময়নাতদন্তে জানা গিয়েছে লালন শেখ আত্মহত্যা করেছেন। ময়নাতদন্তের জন্য তাঁর মৃতদেহ নিয়ে যাওয়া থেকে শুরু করে যাবতীয় কাজ রাজ্য সরকারের নিয়ন্ত্রণে থাকা অফিসাররা করেছেন বলে দাবি করেছেন সিবিআই। যাঁরা ওই সিবিআই ক্যাম্পে দায়িত্বে ছিলেন, তাঁদের সাসপেন্ড করা হয়েছে বলেও জানিয়েছে সিবিআই। সিআইডি-র বড় আধিকারিককে এই তদন্তের দায়িত্ব দেওয়ার কথা বলেন বিচারপতি। রাজ্য সে সময় জানায় ডিআইজি সিআইডি-কে দায়িত্ব দেওয়া যেতে পারে। আপাতত সেই আধিকারিকের তত্ত্বাবধানেই চলবে তদন্ত।

Next Article