কলকাতা : প্রাথমিকের ৩৯২৯ শূন্যপদ নিয়ে মামলা চলছিল কলকাতা হাইকোর্টে। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্য়ায়ের সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশ ছিল ওই সব শূন্যপদে অবিলম্বে নিয়োগ করতে হবে। এবার সেই মামলায় সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশকে মান্যতা দিল ডিভিশন বেঞ্চ। ২০১৪-র টেট উত্তীর্ণ প্রার্থীদের মধ্যে থেকেই ওই শূন্যপদে নিয়োগ করতে হবে বলে শুক্রবার নির্দেশ দিল হাইকোর্টের বিচারপতি সুব্রত তালুকদার ও বিচারপতি সুপ্রতিম ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ। ২০১৪-র টেট উত্তীর্ণ যে প্রার্থীদের বিক্ষোভে বারবার উত্তাল হয়েছে শহর, সেই প্রার্থীরা কিছুটা স্বস্তি পেলেন এই নির্দেশে।
২০১৪ সালের টেটের ভিত্তিতে ২০১৬ এবং ২০২০ সালে দু’টি নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়। ২০২০ সালের নিয়োগে ১৬ হাজার ৫০০ পদে নিয়োগের কথা জানিয়েছিল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। কিন্তু পরে আরটিআই করে জানা যায়, সেই সময় সাড়ে ১২ হাজার পদে নিয়োগ হয়েছিল। অর্থাৎ ৩৯২৯ পদে নিয়োগ করা হয়নি। সেই পদ পূরণের আর্জিতেই মামলা হয়েছিল।
বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্য়ায় নির্দেশ দিয়েছিলেন, ওই সব শূন্যপদে অবিলম্বে নিয়োগ করতে হবে। ২৫২ জন প্রার্থীকে সরাসরি নিয়োগের কথাও বলেছিল সিঙ্গল বেঞ্চ। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয় প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। এদিন শূন্যপদ পূরণের নির্দেশকে মান্যতা দেয় ডিভিশন বেঞ্চ। তবে, সরাসরি নিয়োগের নির্দেশ মানা হয়নি। পর্ষদকে মেধাতালিকা প্রকাশ করতে বলা হয়েছে। সেই মেধাতালিকার ভিত্তিতে হবে নিয়োগ।
ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশে বলা হয়েছে, যে ১১ হাজার ৭৬৫ শূন্যপদে নিয়োগের কথা বলা হয়েছে, তার থেকে বাদ যাবে এই ৩৯২৯ শূন্যপদ। বাকি পদে আসন্ন পরীক্ষার মাধ্যমে নিয়োগ করতে হবে।
প্রার্থীরা কিছুটা স্বস্তি পেয়েছেন ঠিকই। তবে, তাঁদের প্রশ্ন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে ২০ হাজার পদে নিয়োগের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, তা কেন রাখা হল না? অন্যদিকে, পর্ষদ এখনও পর্যন্ত মেধাতালিকা প্রকাশ করেনি। তাই কাদের নাম মেধাতালিকায় আছে, সেটাও স্পষ্ট নয়। ফলে প্রার্থীদের মধ্যে এখনও বিভ্রান্তি আছে। আর ৩৯২৯ শূন্যপদ নিয়ে তাঁদের বক্তব্য, এই নিয়োগ ২০২১ সালেই সম্পন্ন হওয়া উচিত ছিল।
উল্লেখ্য, আগামী ১১ ডিসেম্বর টেট পরীক্ষা রয়েছে। পাঁচ বছর বাদে টেট পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে।