কলকাতা : সম্প্রতি নিয়োগ দুর্নীতি-কাণ্ডে গ্রেফতার হয়েছেন প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। বর্তমানে জেলে রয়েছেন তিনি। এরই মধ্যে শাসক দলের একাধিক নেতার সম্পত্তি নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন উঠল কলকাতা হাইকোর্টে। একটি জনস্বার্থ মামলায় কেন্দ্রীয় সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটকে পার্টি করার নির্দেশ দিল আদালত। প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে হয় এই জনস্বার্থ মামলা। সোমবার তারই শুনানিতে ইডি-কে পার্টি করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মামলায় মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, সাংসদ অর্জুন সিং-সহ মোট ১৯ জন নেতার নাম রয়েছে।
শোভন চট্টোপাধ্য়ায়, জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, মলয় ঘটক, অর্জুন সিং, গৌতম দেব, ইকবাল আহমেদ, ফিরহাদ হাকিম, স্বর্ণকমল সাহা, ব্রাত্য বসু, অরূপ রায়, জাভেদ খান, অমিত মিত্র, আব্দুর রজ্জাক মোল্লা, সুব্রত মুখোপাধ্যায় (প্রয়াত নেতা), সাধন পাণ্ডে (প্রয়াত নেতা), রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়, বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়, শিউলি সাহা, সব্যসাচী দত্ত।
বিপ্লব চৌধুরী নামে এক ব্যক্তি ২০১৭ সালে এই জনস্বার্থ মামলা করেন। সোমবার নতুন করে সেই মামলা ওঠে প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব ও বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চে। মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে, নির্বাচন কমিশনে থেকে পাওয়া নেতা বা মন্ত্রীদের তথ্য খতিয়ে দেখলে বোঝা যাবে, বছরের পর বছর কী ভাবে সম্পত্তি বেড়ে যাচ্ছে। সম্প্রতি দুর্নীতি মামলায় ইডি গ্রেফতার করার পর পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের একের পর এক সম্পত্তির হদিশ মিলেছে। প্রাক্তন মন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ বান্ধবী অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের দুটি ফ্ল্যাট থেকে অন্তত ৫০ কোটি টাকা উদ্ধার হয়েছে। ইডি সেই মামলার তদন্ত করছে। এরই মধ্যে জনস্বার্থ মামলায় ইডি-কে পার্টি করার নির্দেশ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
উল্লেখ্য, এরকমই একটি মামলা হয়েছিল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের ভ্রাতৃবধূ কাজরী বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের সম্পত্তি নিয়ে। তিনি একজন গৃহবধূ হওয়া সত্ত্বেও কী বাবে তাঁর নামে পাঁচ কোটি টাকার সম্পত্তি হল, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল পুরসভা নির্বাচনের আগে।
এই প্রসঙ্গে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘তৃণমূল নেতাদের সম্পত্তি নিয়ে যে মামলা হয়েছে, তাতে আমি খুশি। আর্থিক তছরূপের মামলায় ইডি সবথেকে পারদর্শী। কয়েক ডজন নেতার বিরুদ্ধে শক্তিশালী সংস্থা তদন্ত করুক।’