Calcutta High Court: গণধর্ষণ কাণ্ডে CID-কে তদন্তের নির্দেশ, পুলিশের ভূমিকায় ক্ষুব্ধ হাইকোর্টও

TV9 Bangla Digital | Edited By: অংশুমান গোস্বামী

Sep 08, 2022 | 1:12 PM

Police Negligence: গণধর্ষণের অভিযোগ নিয়ে পুলিশের টালবাহানার অভিযোগ তুলেই মামলা দায়ের হয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টে। এর আগের দিনই পুলিশের ভূমিকার ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা।

Calcutta High Court: গণধর্ষণ কাণ্ডে CID-কে তদন্তের নির্দেশ, পুলিশের ভূমিকায় ক্ষুব্ধ হাইকোর্টও
কলকাতা হাইকোর্টে মামলা

Follow Us

কলকাতা: বিধাননগরের ঘটনার পর ফের পুলিশের গাফিলতিতে ক্ষোভ প্রকাশ কলকাতা হাইকোর্টের। পশ্চিম মেদিনীপুরে একটি গণধর্ষণের অভিযোগে এফআইআর দায়ের না করার অভিযোগ উঠেছিল ২টি থানার বিরুদ্ধে। সেই ঘটনায় রাজ্য পুলিশের ডিজি-র থেকে রিপোর্ট চাইলো হাইকোর্ট। পাশাপাশি মহিলা যে দিন থানায় অভিযোগ জানাতে আসেন, সেদিনের সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ চেয়েছিল হাইকোর্ট। কিন্তু তা আদালতে জমা দিতে পারেনি পুলিশ। এই বিষয়টি নিয়েও বৃহস্পতিবার ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা। এই ঘটনার তদন্তভার সিআইডি-কে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

গণধর্ষনের অভিযোগের তদন্তে চূড়ান্ত গাফিলতি অভিযোগ ওঠে পশ্চিম মেদিনীপুরের পুলিশ প্রশাসনের বিরুদ্ধে। জানা গিয়েছে, জমি সংক্রান্ত বিবাদের মিটমাট করিয়ে দেওয়ার নামে ওই মহিলা ও তাঁর স্বামীকে ডেকেছিলেন স্থানীয় প্রভাবশালীরা। ওই মহিলা ও তাঁর স্বামী গিয়েছিলেন সেখানে। স্ত্রীকে ওই বাড়িতে পৌঁছে খাবার আনতে যান তাঁর স্বামী। সে সময়ই ওই মহিলার উপর অত্যাচার চালানো হয় বলে অভিযোগ। তাঁকে বেশ কয়েক জন মিলে গণধর্ষণ করেন বলে অভিযোগ ছিল ওই মহিলার। ওই বাড়ি থেকে পালিয়ে ১১ অগস্ট রাতেই আনন্দপুর থানায় যান ওই মহিলা ও তাঁর স্বামী। পরনের ছেঁড়া কাপড় পরেই তিনি থানায় গিয়েছিলেন বলে জানা গিয়েছে। যদিও থানা কোনও এফআইআর দায়ের করেনি বলে অভিযোগ। এমনকি নির্যাতিতার মেডিক্যাল পরীক্ষাও না করানোর অভিযোগ থানার বিরুদ্ধে।

গণধর্ষণের অভিযোগ নিয়ে পুলিশের টালবাহানার অভিযোগ তুলেই মামলা দায়ের হয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টে। এর আগের দিনই পুলিশের ভূমিকার ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা। আনন্দপুর থানার ওসি এবং পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলাশাসকের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন ওঠে আদালতে। মামালার আগের দিনের শুনানিতে সিসিটিভি ফুটজ সংরক্ষণ করে আনতে বলে আদালত। কিন্তু বৃহস্পতিবার সেই সিসিটিভি ফুটেজ জমা দিতে পারেনি পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, মহিলা যে দিন অভিযোগ করতে এসেছিলেন সে দিনের সিসিটিভি ফুটেজ পাওয়া যাচ্ছে না। তা শুনেই আদলতের সন্দেহ, ওই দিনের সিসিটিভি ফুটেজ মুছে ফেলা হয়েছে বা সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। এর পরই রাজ্য পুলিশের ডিজি-র কাছে বিষয়টি নিয়ে রিপোর্ট চান বিচারপতি। এবং এই ঘটনার তদন্তভার জেলা পুলিশের হাত থেকে সরিয়ে সিআইডি-কে দেওয়ার জন্য স্বরাষ্ট্রসচিব এবং ডিজি-কে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ২২ সেপ্টেম্বর এ নিয়ে আদালতে রিপোর্ট জমা দেবেন ডিজি।

বৃহস্পতিবারের আগে ৬ সেপ্টেম্বর হাইকোর্টে শুনানি হয়েছিল এই মামলার। তার পরও সংশ্লিষ্ট থানা FIR দায়ের করে তদন্ত শুরু করেনি বলে অভিযোগ।

Next Article