Calcutta High Court: মেট্রোর কাজের জন্য এখনই গাছে কোপ নয়, অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ হাইকোর্টের

Shrabanti Saha | Edited By: Soumya Saha

Oct 26, 2023 | 4:48 PM

Calcutta High Court: আগামী ১৩ নভেম্বর পর্যন্ত এই অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ বহাল থাকবে। ফলে মেট্রোর কাজের জন্য এখনই ময়দান চত্বরে কোনও গাছ কাটতে পারবে না নির্মাণকারী সংস্থা রেলওয়ে বিকাশ নিগম লিমিটেড। বৃহস্পতিবার এই নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি মৌসুমী ভট্টাচার্য ও বিচারপতি বিভাস রঞ্জন দে'র ডিভিশন বেঞ্চ।

Calcutta High Court: মেট্রোর কাজের জন্য এখনই গাছে কোপ নয়, অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ হাইকোর্টের
কলকাতা হাইকোর্ট
Image Credit source: TV9 Bangla

Follow Us

কলকাতা: মেট্রোর কাজের জন্য ময়দান চত্বরে গাছ কাটার উপর অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ কলকাতা হাইকোর্টের। আগামী ১৩ নভেম্বর পর্যন্ত এই অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ বহাল থাকবে। ফলে মেট্রোর কাজের জন্য এখনই ময়দান চত্বরে কোনও গাছ কাটতে পারবে না নির্মাণকারী সংস্থা রেলওয়ে বিকাশ নিগম লিমিটেড। বৃহস্পতিবার এই নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি মৌসুমী ভট্টাচার্য ও বিচারপতি বিভাস রঞ্জন দে’র ডিভিশন বেঞ্চ। আগামী ৯ নভেম্বর এই মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে।

উল্লেখ্য, মোমিনপুর থেকে এসপ্ল্যানেড পর্যন্ত মেট্রোর কাজের জন্য ময়দান চত্বরে প্রায় ৭০০ গাছ কাটার চিন্তা ভাবনা চলছিল। কিন্তু সেই গাছ কাটার জন্য প্রয়োজনীয় অনুমতি নেই, এই অভিযোগ তুলে হাইকোর্টে মামলা করে এক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। তাঁদের বক্তব্য, ২৬ সেপ্টেম্বর থেকে তিন বার আরটিআই করে জানতে চাওয়া হয়েছে এই গাছগুলি কাটার প্রয়োজনীয় অনুমতি রয়েছে কি না। কিন্তু সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের থেকে কোনও জবাব পাওয়া যায়নি বলেই দাবি মামলাকারী সংগঠনের। এমন অবস্থায় তাই হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় ওই স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন।

এদিন মামলার শুনানির সময় যে পরিমাণ গাছ কাটার কথা হচ্ছে, তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে হাইকোর্ট। বিচারপতি মৌসুমী ভট্টাচার্য বলেন, “যে সংখ্যক গাছ কাটার কথা বলা হচ্ছে, তা উদ্বেগের।” বিচারপতি এদিন আরও বলেন, “শহরের যে কোনও মানুষ স্বীকার করবে যে ময়দান শুধু একটি খোলা জায়া নয়, এটি আরও অনেক বেশি। শহরের ফুসফুস হল এই ময়দান।” ১৯৫০ সাল থেকে যে শহরগুলির তাপমাত্রা বছর বছর বেড়ে চলেছে, তার মধ্যে কলকাতা অন্যতম, সে কথাও এদিন বলেন বিচারপতি।

উল্লেখ্য, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতেই সুপ্রিম কোর্টের থেকে যশোর রোডের ধারে প্রায় ৩০০টিরও বেশি গাছ শর্তসাপেক্ষে কাটার অনুমতি দিয়েছিল। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ ছিল, প্রতিটি গাছ কাটার বদলে পাঁচটি করে নতুন গাছ লাগাতে হবে। যশোর রোডের ধারের গাছ কাটা সংক্রান্ত এই মামলাটিও প্রথমে ছিল কলকাতা হাইকোর্টে। হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ গাছ কাটার নির্দেশ দিলে, তা চ্যালেঞ্জ করে পরবর্তীতে মামলা গিয়েছিল সুপ্রিম দুয়ারে।

Next Article