কলকাতা: গঙ্গাসাগর মেলা (Gangasagar Mela) প্রাঙ্গণকে কন্টেনমেন্ট জ়োন ঘোষণার দাবিতে করা মামলার শুনানি চলাকালীন এদিন প্রধান বিচারপতি রাজ্যের উদ্দেশে প্রশ্ন করেন, “ই-স্নান কেন বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে না?”
কোভিড পরিস্থিতিতে গঙ্গাসাগর মেলা আদৌ করা যাবে কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন উঠলেও প্রাথমিকভাবে রাজ্যের প্রস্তুতিতে হাইকোর্ট (Calcutta High Court) সন্তুষ্ট বলেই জানা গিয়েছে। তবে আদালতের অন্তর্বতী নির্দেশ, আগামিকাল থেকেই মাইকে ঘোষণা করতে হবে যাতে কেউ জলে না নামে। জলে নামা কতটা ক্ষতিকর হতে পারে সেটা বলতে হবে। মানুষ যাতে ই-স্নানে আগ্রহী হন তার ব্যবস্থাও করতে হবে রাজ্যকে। মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ১৩ জানুয়ারি নির্ধারিত হয়েছে। ওই দিন মুখ্যসচিব জানাবেন কী ব্যবস্থা নেওয়া হল। একই সঙ্গে গঙ্গাসাগর যেন দুষিত না হয় সেদিকেও নজর দিতে বলা হয়েছে রাজ্যকে।
আজ শুনানিতে প্রধান বিচারপতি বিচারপতি টিবি রাধাকৃষ্ণণ রাজ্যের কাছে জানতে চান, “ই-স্নানকে কেন বাধ্যতামূলক করা হয়নি? এত মানুষ একসঙ্গে সাগরে নামলে একটি ডুবই মহামারীর জন্য যথেষ্ট হবে। জল স্পর্শ না করে জল পেলে ক্ষতি কোথায়?” বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “এ ক্ষেত্রে ই-স্নান বাধ্যতামূলক কেন হবে না? পুরী-সহ বিভিন্ন স্থানে কোভিড নেগেটিভ রিপোর্ট বাধ্যতামূলক ছিল। এক্ষেত্রে সেটা সম্ভব নয়। কারণ, এখানে শুধু মন্দিরে পুণ্যার্থীরা যান না। বিশাল এলাকা।”
রাজ্যের তরফে এজি জানান, এক সঙ্গে যাতে অনেকে না যায় সেটা দেখা হবে। কিয়স্ক থেকে লোকে জল নিয়ে চলে যেতে পারে তার ব্যবস্থা হবে। বেশিক্ষণ জলে না দাঁড়ানো যায় তাও দেখা হবে।
প্রধান বিচারপতি আরও প্রশ্ন করেন, “শবরীমালায় যদি স্নান বন্ধ হয় এখানে নয় কেন? করোনার সময় মন্দির, মসজিদ, গির্জা তো বন্ধ ছিল। মানুষ যাননি। আমার কাছে হাইকোর্ট মন্দির। এখানে যে স্যানিটাইজার গেটে দেওয়া হয় সেটাই চরণামৃত।”
অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল পাল্টা যুক্তি খাড়া করে বলেন, ভুললে চলবে না মানুষ ইতিমধ্যেই যাত্রা শুরু করে দিয়েছেন গঙ্গাসাগরের উদ্দেশ্যে।
আরও পড়ুন: আজ রাতেই দিল্লি উড়ে যাচ্ছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়
প্রসঙ্গত, গতবছর থেকেই একটি প্যাকেজের ব্যবস্থা রাজ্য সরকার করেছে। যেখানে কুমুণ্ডলে সাগরের জল, প্রসাদ-সহ কিছু সামগ্রী এক সঙ্গে বিক্রির ব্যবস্থা আছে। এটি অনলাইনে অর্ডার করলেও পাওয়া যায়।
আরও পড়ুন: আজ সেই নন্দীগ্রামেই বিজেপির ‘ঐতিহাসিক’ মঞ্চে শুভেন্দু-মুকুল!