AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Calcutta High Court on Khejuri: ‘তদন্তে মানুষের আস্থা থাকাটাও একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়’, খেজুরি মামলায় বলল কোর্ট

Calcutta High Court: এরপর বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ বলেন, "এটা চিকিৎসকদের আলোচ্য বিষয় হতেই পারে। আমার তাতে কিছু বলার নেই। কিন্তু এখানে এসএসকেএম-এর তিনজন চিকিৎসক খতিয়ে দেখে এই মতামত দিয়েছেন। তদন্তে মানুষের আস্থা থাকাটাও একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।"

Calcutta High Court on Khejuri: 'তদন্তে মানুষের আস্থা থাকাটাও একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়', খেজুরি মামলায় বলল কোর্ট
বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষImage Credit: Tv9 Bangla
| Edited By: | Updated on: Aug 20, 2025 | 6:11 PM
Share

কলকাতা: কয়েকদিন আগে জলসা দেখতে গিয়ে দুই বিজেপি কর্মীর দেহ উদ্ধার হয়। সেই ঘটনায় মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজের ময়নাতদন্তের রিপোর্ট দেখে পুলিশ দাবি করেছিল বিদ্যুৎস্পষ্ট হয়ে মৃত্যু হয়েছে। তবে দুই মৃতের পরিবার প্রথম থেকেই অভিযোগ করছিল খুন করা হয়েছে তাঁদের। পরবর্তীতে কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে ফের ময়নাতদন্ত হয়। সেই রিপোর্ট আসে ভিন্ন। মঙ্গলবার এই দ্বিতীয় রিপোর্ট কলকাতা হাইকোর্টে জমা পড়তেই স্তম্ভিত হয় কোর্ট। মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজের প্রথম রিপোর্টে এক রকম, SSKM-এর রিপোর্ট আর এক রকম কীভাবে? প্রশ্ন তুলছিলেন বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ। মঙ্গলবারের (২০ অগস্ট) পর বুধবারও চলল এই মামলার শুনানি।

এদিন এজলাসে রাজ্যে দাবি করে, ছ’জনের গোপন জবানবন্দি নেওয়া হয়েছে। ৯ জনের সাক্ষী নেওয়া হয়েছে। কোনও মারধরের অভিযোগ নেই।  প্রথম ময়নাতদন্তের ভিডিয়োগ্রাফি হয়েছে। দেহে আঘাতের কোনও চিহ্ন নেই। এরপর রাজ্য যুক্তি দেয়,দু’টি ময়নাতদন্তের রিপোর্টের পার্থক্য একাধিক কারণে হতে পারে। প্রথম, ময়নাতদন্তের পরে দেহ যথাযথ ভাবে সংরক্ষণ করা না হলে। দ্বিতীয়, পচনের কারণে দেহে নতুন চিহ্ন তৈরি হতে পারে। তৃতীয়, ১০০ কিমি দূরে দেহ নিয়ে আসা হয়েছে। সেকারণে হতে পারে। চতুর্থ, পচনের কারণে দেহে পরিবর্তন আসতে পারে। দ্বিতীয় ময়নাতদন্তের রিপোর্টের ভিত্তিতে তদন্তকারী আধিকারিক পরিবর্তন না করার আবেদন জানাচ্ছি।

এরপর বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ বলেন, “এটা চিকিৎসকদের আলোচ্য বিষয় হতেই পারে। আমার তাতে কিছু বলার নেই। কিন্তু এখানে এসএসকেএম-এর তিনজন চিকিৎসক খতিয়ে দেখে এই মতামত দিয়েছেন। তদন্তে মানুষের আস্থা থাকাটাও একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।”

পরবর্তীতে রাজ্য ফের সওয়াল করে, এখানে তদন্তকারী আধিকারিকদের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হচ্ছে। অভিযোগ করা হচ্ছে যে পুলিশ কোনও বড় ব্যক্তির ইশারায় তদন্তকে প্রভাবিত করছেন। এটা ঠিক নয়। এরপর আদালত জানায়, প্রথম এবং দ্বিতীয় ময়নাতদন্তের রিপোর্ট মৃত সুধীর পাইকের ক্ষেত্রে একই আছে। পরিবর্তন এসেছে সুজিত দাসের রিপোর্টে। আগামী শুক্রবার ফের এই মামলার শুনানি।