কলকাতা : সিবিআই-এর (CBI) ভূমিকায় ফের একবার বিরক্তি প্রকাশ আদালতের। অভিযুক্ত হিসেবে না ডেকে সাক্ষী হিসেবে ডাকা হচ্ছে। আবার তার আগাম জামিনের বিরোধিতা করা হচ্ছে। এটা কি ধরনের যুক্তি? কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থাকে প্রশ্ন বিরক্ত হাইকোর্টের (Calcutta High Court)। বুধবার ভোট পরবর্তী হিংসার (Post Poll Violence) মামলায় নন্দীগ্রামের খুনের অভিযোগে আবু তাহেরের আগাম জামিনের শুনানি ছিল কলকাতা হাইকোর্টে। শুনানি চলাকালীন এই প্রশ্ন তুলল হাইকোর্টের বিচারপতি দেবাংশু বসাকের ডিভিশন বেঞ্চ। যদিও শেষ পর্যন্ত ওই আগাম জামিনের আবেদন খারিজ করে দেয় কলকাতা হাইকোর্ট।
উল্লেখ্য, এর আগে এই একই মামলায় অন্যতম অভিযুক্ত শেখ সুফিয়ানের আগাম জামিনের আবেদনও খারিজ করেছিল হাইকোর্ট। পরে সুপ্রিম কোর্ট তাঁকে আগাম জামিন দেয়। যদিও এদিন সিবিআই-এর তরফে দাবি করা হয়, একই মামলায় দুই জনেই অভিযুক্ত হলেও অভিযোগের গুরুত্ব দুই জনের বিরুদ্ধে এক নয়। প্রসঙ্গত, গত বছরের ২ মে বিধানসভা নির্বাচনের ফল প্রকাশের পর থেকেই রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত ভোট পরবর্তী হিংসার অভিযোগ উঠেছিল। সেই তালিকায় ছিল হাইভোল্টেজ বিধানসভা কেন্দ্র নন্দীগ্রামও। ভোটের ময়দানে ‘সম্মুখ সমরে’ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে হারিয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। নির্বাচনী ফল প্রকাশের পর নন্দীগ্রামের একাধিক জায়গায় হামলা চালানোর অভিযোগ ওঠে। ওই সময় এলাকায় বিজেপি কর্মী বলে পরিচিত দেবব্রত মাইতি নামে ব্যক্তি গুরুতর জখম হয়েছিলেন। কয়েকদিন পর মৃত্যু হয় তাঁর।
পরবর্তী সময়ে রাজ্যে ভোট পরবর্তী হিংসার তদন্তভার যায় সিবিআই-এর হাতে। তাতে আবু তাহের-সহ একাধিক তৃণমূল নেতাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নোটিস পাঠায় কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। উল্লেখ্য, ফৌজদারি দণ্ডবিধি অনুযায়ী, অভিযুক্ত হিসেবে কাউকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে হলে এবং সাক্ষী হিসেবে কাউকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে হলে উভয় ক্ষেত্রে পৃথক পৃথক নোটিস দেওয়া হয়। এ ক্ষেত্রে সিবিআই-কে আদালতের প্রশ্ন, আবু তাহেরকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য অভিযুক্ত হিসেবে না ডেকে সাক্ষী হিসেবে তলব করছে সিবিআই। তাহলে কেন আদালতে তাঁর আগাম জামিনের বিরোধিতা করা হচ্ছে? যদিও হাইকোর্ট এদিন আবু তাহেরের আগাম জামিনের আবেদন খারিজ করে দিয়েছে।