কলকাতা: ২০২০ সালে চারু মার্কেট এলাকায় একটি ঝামেলায় নাম জড়িয়েছিল মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসের ভাই স্বরূপ বিশ্বাসের। ওই ঘটনায় নমিতা দাস নামে এক অভিযোগকারীর বয়ানের ভিত্তিতে এফআইআর রুজু করা হয়েছিল। কিন্তু পরে আদালতে দেখা যায় এফআইআর-এ নাম নেই স্বরূপ বিশ্বাসের। পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলে আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছিল ওই ঘটনায়। পাশাপাশি মামলাকারী আরও অভিযোগ করেছেন, তাঁকে ইদানিং হুমকি দেওয়াও শুরু হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে এবার পদক্ষেপ করল কলকাতা হাইকোর্ট। কেন এফআইআর থেকে স্বরূপ বিশ্বাসের নাম বাদ পড়ল, এবার তা জানতে চাইল কলকাতা হাইকোর্ট।
কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা শুক্রবার নির্দেশ দিয়েছেন, পুলিশ কমিশনারের তত্ত্বাবধানে রিপোর্ট জমা দেবেন স্থানীয় থানার ওসি। এর পাশাপাশি ওই মামলাকারীকে নিরাপত্তাও দিতে হবে বলে জানিয়েছে আদালত। নভেম্বর মাসে এই মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে। উল্লেখ্য, স্বরূপ বিশ্বাস হলেন মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসের ভাই। তাঁর স্ত্রী জুঁই বিশ্বাস আবার কলকাতা পুরনিগমের কাউন্সিলর।
মামলাকারীর অভিযোগ, তিনি ২০২০ সালে চারু মার্কেটের ওই ঘটনার পর পুলিশির কাছে অভিযোগ জানিয়েছিলেন। সেই সময় ঘটনায় স্বরূপ বিশ্বাসের নাম করেছিলেন তিনি। কিন্তু পরে দেখা যায় পুলিশের তরফে ওই ঘটনায় যে এফআইআর করা হয়েছে, তাতে নাম নেই স্বরূপ বিশ্বাসের। এই নিয়েই পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ জানিয়েছিলেন মামলাকারী নমিতা দাস।
মামলাকারীর অভিযোগ, ২০২০ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর সন্ধে সাড়ে সাতটা নাগাদ স্বরূপ বিশ্বাসের নেতৃত্বে শিবু হালদা, বাপি হালদার, তাপস হালদার সহ অন্যান্য অভিযুক্তরা মামলাকারীর উপর চড়াও হয়েছিল। তাঁদের ভয় দেখানো হয়েছিল বলেও অভিযোগ। এরপর যখন অভিযোগকারী সাহায্যের জন্য চিৎকার করেছিল, সেই সময় অভিযুক্তরা তিন রাউন্ড গুলি চালিয়েছিল বলেও অভিযোগ। মামলাকারী অভিযোগ তুলেছেন, ওই দিন যে আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছিল, তা উদ্ধারের জন্য পুলিশ কোনও পদক্ষেপ করেনি। এমন অবস্থায় পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন তিনি। সেই মামলায় এবার পুলিশের থেকে রিপোর্ট তলব করল আদালত।