কলকাতা : চার্জশিট জমা কেলেঙ্কারিতে আইসি-কে দু’মাসের জেলে পাঠানোর হুঁশিয়ারি মামলায় এ বার পুলিশ সুপারের বক্তব্য জানতে চাইল আদালত। সময়ে চার্জশিট আদালতে জমা না দেওয়া নিয়ে অধস্তন সহকর্মীর ঘাড়েই দায় চাপালেন নরেন্দ্রপুর থানার আইসি। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে শুক্রবার বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার এজলাসে তিনি হলফনামা জমা দেন। সেখানে কেন আদালতের নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে চার্জশিট জমা না দিয়েও হাইকোর্টকে উল্টে মিথ্যা তথ্য দেওয়া হয়েছে, তা নিয়ে তাঁর বক্তব্য জানিয়েছেন ওই আইসি। তাতে ওই আইসি তাঁর অধস্তন সহকর্মীদের ওই কাজ আগেই করতে বলেছিলেন বলে দাবি করেছেন।
যদিও কলকাতা হাইকোর্ট তাঁর এই বয়ানে খুব একটা সন্তুষ্ট হতে পারেনি। তাই এ বার বারুইপুর পুলিশ জেলার সুপারকে আইসি-র এই বক্তব্য সঠিক কি না, তা জানানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আগামী ১৭ মে এই মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে। উল্লেখ্য, আদালতে ভুল তথ্য দেওয়ার ঘটনায় আগেই নরেন্দ্রপুর থানার আইসিকে ভর্ৎসনা করেছিল হাইকোর্ট। আদালত বলেছিল,পুলিশ বলেই যে কেউ যা খুশি করতে পারেন না! কেন ‘মিথ্যা’ তথ্য দেওয়ার কারণে নরেন্দ্রপুর থানার ওই আইসিকে শাস্তি দেওয়া হবে না, তা নিয়ে হলফনামা জমা দিতে বলেছিল কলকাতা হাইকোর্ট। এবার সেই হলফনামা কলকাতা হাইকোর্টে জমা করলেন নরেন্দ্রপুর থানার আইসি।
নরেন্দ্রপুর থানা এলাকার রায়নার বাসিন্দা সুরজ প্রতাপ। অভিযোগ, মাস খানেক আগে পাওনা টাকা চাইতে গিয়ে আক্রান্ত হয়েছিলেন তিনি। তাঁর গলা কেটে খুনের চেষ্টা করা হয়েছিল বলে অভিযোগ। কিন্তু বিষয়টি নিয়ে থানায় গেলে, সেখানে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। এরপরই বিষয়টি নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন সুরজ। মামলাটি হাইকোর্টে উঠলে পুলিশের তরফে জানানো হয়, খুনের চেষ্টার অভিযোগে মামলার চার্জশিট ৩০ জানুয়ারি জমা পড়েছে। কিন্তু তথ্য যাচাইয়ে দেখা যায়, ওই দিনে এই সংক্রান্ত চার্জশিট জমা পড়েনি। আর তাতেই বিরক্ত হয় হাইকোর্ট।