৭ হাজার মানুষের ফোন নম্বর ১টি! আদালতের ভর্ৎসনায় ব্যাপক ‘দুর্নীতি’ স্বীকার করল রাজ্য

Calcutta High Court: আদালত জানতে চায়, তা হলে রাজ্য সরকার কি এতদিন ঘুমিয়ে ছিল? অবিলম্বে ঘটনা প্রেক্ষিতে হলফনামা তলব করেছে আদালত।

৭ হাজার মানুষের ফোন নম্বর ১টি! আদালতের ভর্ৎসনায় ব্যাপক 'দুর্নীতি' স্বীকার করল রাজ্য
ফাইল ছবি
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jul 27, 2021 | 9:11 PM

কলকাতা: ২০১৭ সালে মালদায় বন্যাত্রাণে ‘দুর্নীতি’ নিয়ে রাজ্য সরকারকে চরম ভর্ৎসনার মুখে পড়ল রাজ্য সরকার। বছর চারেক আগের ঘটনায় যে ‘দুর্নীতি’ হয়েছিল, তা কার্যত সোমবার স্বীকার করে নেওয়া হয় রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকেও। সেই পরিপ্রেক্ষিতেই এ দিন তোপ দেগে আদালত জানতে চায়, তা হলে রাজ্য সরকার কি এতদিন ঘুমিয়ে ছিল? অবিলম্বে ঘটনা প্রেক্ষিতে হলফনামা তলব করেছে আদালত। সেই হলফনামা দেখেই পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

ঘটনা হচ্ছে, ২০১৭ সালের বন্যায় মারাত্মক ক্ষতি হয় মালদার। ক্ষতিগ্রস্ত হন অগুনতি মানুষ। সেই সময় রাজ্য সরকারে তরফে জানানো হয়, যে সমস্ত মানুষের বাড়ি সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস হয়ে গিয়েছে, সেই বাড়ির মালিকদের ৭০ হাজার টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। সেই অনুযায়ী, প্রায় ১৪ হাজার ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের তালিকা তৈরি হয় এবং তাতে সিলমোহর দেন খোদ বিডিও। সেই মতো প্রায় সব ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের অ্যাকাউন্টেই টাকা পাঠিয়ে দেওয়া হয় রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে। কিন্তু মামলাকারীর অভিযোগ, এই ১৪ হাজার নামের তালিকায় গরমিল রয়েছে। মামলাকারীর আইনজীবী শ্রীজীব চক্রবর্তী এই বিষয়ে বলেন, “বিডিও ‘দুর্নীতির’ কথা নিজে স্বীকার করে নিয়েছিলেন, তারপরও যথোপযুক্ত কোনও পদক্ষেপ না করার কারণে আমরা আদালতের দ্বারস্থ হই।”

কী ধরনের গরমিল? মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে, তালিকায় থাকা ১৪ হাজার নামের মধ্যে ৭ হাজার ব্যক্তি এমন রয়েছেন যারা কেবলমাত্র একটি ফোন নম্বরের অধিকারী। বিষয়টি নিয়ে জানাজানি হতে ২০১৯ সালে বিডিও নিজেই স্বীকার করে নেন, কোথাও একটা ‘দুর্নীতি’ হয়েছে। কিন্তু তারপরেও আজ পর্যন্ত কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি। এতেই বেজায় চটেছে ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। বিচারপতিদের বক্তব্য, কেন এতদিন কোনও পদক্ষেপ করা হল না? রাজ্য সরকার কি তাহলে এতদিন ঘুমিয়ে ছিল?

সূত্রের খবর, এই মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী ৫ অগস্ট হতে চলেছে। সে দিন একটি হলফনামা দিয়ে রাজ্য সরকারকে জানাতে হবে, এই ঘটনায় কী কী পদক্ষেপ করা হয়েছে। যদিও আজকের শুনানি চলাকালীন রাজ্যের এজি কিশোর দত্তের পক্ষ থেকেই স্বীকার করে নেওয়া হয় যে, ক্ষতিপূরণ বণ্টনের ক্ষেত্রে দুর্নীতি হয়েছিল। আরও পড়ুন: অশ্রুসজল চোখ, সরকারের দ্বিতীয় বর্ষপূর্তিতেই মুখ্যমন্ত্রীর পদ ছাড়ার ঘোষণা ইয়েদুরাপ্পার