Calcutta High Court: এখনই দেহ তুলে দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্ত নয়, IIT ছাত্রের রহস্যমৃত্যুতে ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ রাজ্য

Shrabanti Saha | Edited By: শর্মিষ্ঠা চক্রবর্তী

May 12, 2023 | 2:27 PM

Calcutta High Court: মান্থা নির্দেশ দিয়েছিলেন, অসম পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করে মৃত ছাত্রের দেহ তুলে কলকাতায় এনে দ্বিতীয় ময়নাতদন্ত করতে হবে। রাজ্য ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হওয়ায় বিচারপতি মান্থার এই নির্দেশ এখনই কার্যকর হচ্ছে না।

Calcutta High Court: এখনই দেহ তুলে দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্ত নয়, IIT ছাত্রের রহস্যমৃত্যুতে ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ রাজ্য
খড়্গপুর আইআইটি ছাত্রের রহস্যমৃত্যু

Follow Us

কলকাতা: আইআইটি খড়গপুর ছাত্র মৃত্যুতে সিঙ্গেল বেঞ্চের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ রাজ্য। এই মামলায় আগে বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা নির্দেশ দিয়েছিলেন, অসম পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করে মৃত ছাত্রের দেহ তুলে কলকাতায় এনে দ্বিতীয় ময়নাতদন্ত করতে হবে। রাজ্য ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হওয়ায় বিচারপতি মান্থার এই নির্দেশ এখনই কার্যকর হচ্ছে না। এদিন মামলা উঠলে রাজ্যের তরফে অ্যাডভোকেট জেনারেল জানান, আগামী সপ্তাহের প্রথমে এই মামলার শুনানি হতে পারে। বিচারপতি মান্থা এক সপ্তাহের জন্য মামলা শুনানি পিছিয়ে দেন। আগামী শুক্রবার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য হয়েছে।

২৫ এপ্রিল বিচারপতি রাজা শেখর মান্থা নির্দেশ দিয়েছিলেন, অসম পুলিশের সহায়তা নিয়ে কবরে রাখা মৃত ছাত্রের দেহ তুলতে হবে। এবং তা কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে দ্বিতীয় ময়নাতদন্ত করতে হবে। কিন্তু হাইকোর্টের নির্দেশের পরও পুলিশ এখনও অসম পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ পর্যন্ত করেনি বলে অভিযোগ উঠেছে। এদিকে, মৃতের পরিবার হাইকোর্টের নির্দেশ দেখালেও অসম পুলিশ জানিয়ে দিয়েছে পুলিশ যোগাযোগ না করায় তারা কিছু করতে পারছে না। পুলিশের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ তুলেছে পরিবার। শুক্রবার আদালত অবমাননার অভিযোগের শুনানি।

আইআইটি খড়্গপুরের ছাত্রের রহস্যমৃত্যুতে গত ২৫ এপ্রিলই কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা নির্দেশ দেন, ফাইজন আহমেদের দেহ কবর থেকে তুলে ফের ময়নাতদন্ত করতে হবে। হাইকোর্ট তার আগে বিশেষজ্ঞ কমিটি তৈরি করে দেওয়া হয়েছিল। সেই কমিটির মাথায় ছিলেন চিকিৎসক অজয় গুপ্তা। চিকিৎসক অজয় গুপ্তর দেওয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, ওই ছাত্রের মাথার পিছনে ভারী কিছু বস্তু দিয়ে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। পুলিশের ময়না তদন্তের রিপোর্টে তার উল্লেখ নেই। বিশেষজ্ঞ কমিটির রিপোর্টেও উল্লেখ ছিল, হাতে কেটে দিয়ে আত্মহত্যার দিকে নজর ঘোরানোর চেষ্টা হয়ে থাকতে পারে। সেই রিপোর্ট খতিয়ে দেখেই দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল হাইকোর্ট।

Next Article