কলকাতা: কয়লা-কাণ্ডে সিবিআইয়ের তদন্তকারী আধিকারিকদের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া এফআইআরে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। সম্প্রতি বেশ কয়েকজন তদন্তকারী আধিকারিকের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের হয় ডায়মন্ড হারবারের বিষ্ণুপুর থানায়। এরপর হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় সিবিআই। বুধবার বিচারপতি বিবেক চৌধুরীর বেঞ্চে ছিল সেই মামলার শুনানি। শুনানির পর অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দিয়েছেন তিনি। ৬ সপ্তাহের স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়েছে। ফলে, এই মামলায় আপাতত স্বস্তি পেয়েছে সিবিআই।
তদন্তকারী অফিসার উমেশ কুমার সহ অন্যান্য অফিসারের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের হয় কিছুদিন আগে। ডায়মন্ড হারবারের বাসিন্দা হাইবার আখানের অভিযোগের ভিত্তিতে হয় এফআইআর। কয়লা কাণ্ডে সিবিআইয়ের ওপর কার্যত পাল্টা চাপ তৈরির চেষ্টা হয় বলেই মনে করা হয়। অভিযোগকারী হাইবার আখানের দাবি, জেরার নামে নিজাম প্যালেসে ডেকে তাঁকে হুমকি দেওয়া হয়েছে। জোর করে তাঁকে ভয় দেখিয়ে বয়ান রেকর্ড করা হয়েছে বলেও অভিযোগ করেছিলেন তিনি।
কয়লা পাচারকাণ্ডে সম্প্রতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ত্রী রুজিরা গিয়েছিলেন সিবিআই অফিসে। এই মামলায় তৃণমূল সাংসদ অভিষেকের বাড়িতেও গিয়েছিলেন সিবিআই আধিকারিকরা। এ ছাড়া এই কয়লা পাচারকাণ্ডেই দক্ষিণ ২৪ পরগনার নেতা সওকত মোল্লাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। তাঁরই ছায়াসঙ্গী হিসেবে পরিচিত সাদেক লস্করকেও তলব করেছিল সিবিআই। সাদেক ক্যানিং-২ ব্লকের যুব তৃণমূলের সভাপতি। সর্বক্ষণ তিনি সওকত মোল্লার সঙ্গেই থাকেন। এ ছাড়াও একাধিক প্রভাবশালীর নাম জড়িয়েছে কয়লা পাচার কাণ্ডে। কয়লা পাচারের টাকা অনেকের অ্যাকাউন্টে যেত বলে অভিযোগ। সেই সূত্রেই রুজিরার নাম সামনে আসে।
বছর দেড়েক আগে কয়লা পাচারকাণ্ডের তদন্তে প্রথম মামলা দায়ের করে সিবিআই। দফায় দফায় রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালান তদন্তকারীরা। তদন্তে নেমে চোখ কপালে ওঠে তাঁদের। প্রথমেই উঠে আসে অনুপ মাজি ওরফে লালা নামে এক মাঝবয়সী ব্যক্তির নাম। যিনি কয়েক হাজার কোটি টাকার মালিক বলে জানতে পারে তদন্তকারীরা। তিনি পুরুলিয়ার নিতুড়িয়ার বাসিন্দা। তাঁর সূত্র ধরেই অন্যান্যদের খোঁজ পায় সিবিআই।