কলকাতা : বোর্ড ছুটি মঞ্জুর করার পরও ক্যান্সার আক্রান্ত শিক্ষিকার বেতন কাটার সুপারিশ করেছিলেন প্রধান শিক্ষক। কেন তিনি এমন করলেন, তা জানতে আজ হাইকোর্টে (Calcutta High Court) হুগলির তেলেনি পাড়ার মহাত্মা গান্ধী বিদ্যাপীঠ হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষককে ডেকেছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। প্রধান শিক্ষক অজয় কুমার যাদবের যুক্তিতে বিচারপতি সন্তুষ্ট হননি। শেষে প্রধান শিক্ষককে সাসপেন্ডের নির্দেশ দিলেন তিনি। আদালতের নির্দেশে আগামিকাল থেকে স্কুলে যেতে পারবেন না প্রধান শিক্ষক। একইসঙ্গে শিক্ষিকা সুনীতা শর্মাকে বকেয়া বেতন দেওয়ারও নির্দেশ দিলেন বিচারপতি। হাইকোর্টের নির্দেশ খুশি সুনীতা দেবী।
মহাত্মা গান্ধী বিদ্যাপীঠ হাইস্কুলের ভূগোলের শিক্ষিকা সুনীতা শর্মা। হাইকোর্টে তিনি জানান, ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ায় ছুটি নিয়েছিলেন। কেমোর জন্য তাঁকে অন্য রাজ্যে পাড়ি দিতে হয়। বোর্ড তাঁর সবেতন ছুটি মঞ্জুর করে। তারপরও প্রধান শিক্ষক তাঁর বেতন কেটেছেন। এই নিয়েই আদালতের দ্বারস্থ হন তিনি।
ওই মামলার শুনানিতে গতকাল বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় প্রধান শিক্ষককে ডেকে পাঠান। আজ তাঁকে আদালতে আসতে বলা হয়। বিচারপতির নির্দেশমতো আদালতে আসেন ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক অজয় কুমার যাদব। আদালতে হাজিরা দিয়ে তিনি দাবি করেন, শিক্ষিকার প্যান কার্ড ছিল না। সরকারিভাবে দরখাস্তও তিনি করেননি। তাই তাঁর বেতন কাটা হয়েছে। এরপর বিচারপতির একের পর এক প্রশ্নে বেকায়দায় পড়ে যান প্রধান শিক্ষক। তাঁর উত্তরে সন্তুষ্ট হতে পারেননি বিচারপতি। প্রধান শিক্ষককে আপাতত দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেন। আগামীকাল থেকে প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করতে পারবেন না ওই শিক্ষক। তাঁকে বরখাস্ত করা হবে কি না তা দেখতে বোর্ডকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সুনীতা দেবীর সব বকেয়া টাকা দ্রুত ফেরত দেওয়ার নির্দেশও দেন বিচারপতি।
সুনীতা দেবীর আইনজীবী রণজিৎ চট্টোপাধ্যায় বলেন, তাঁর মক্কেল প্যান কার্ড সহ আবেদন করলেও ওই প্রধান শিক্ষক পাত্তা দেননি। আদালতের নির্দেশে স্বস্তি পেয়েছেন সুনীতা দেবী। তিনি বলেন, প্রাপ্য টাকা হাতে পেয়ে নিজের চিকিৎসা করাতে পারবেন।