বার কাউন্সিল অফ ইন্ডিয়ার প্রতিনিধিরা
কলকাতা: কলকাতা হাইকোর্টে বার কাউন্সিল অফ ইন্ডিয়ার তিন সদস্যের প্রতিনিধি দল। সকাল ১০.৪০ মিনিট নাগাদ ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিমের সদস্যদের হেঁটেই হাইকোর্টে ঢোকেন। প্রতিনিধিদের নাম, রবীন্দ্র কুমার রাইজদা, অশোক মেহতা, বন্দনা কৌর গ্রোভার। প্রথমে বার অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন। ১০.৪৫-১১টার পর রেজিস্ট্রারের সঙ্গে দেখা করেন। বারের চ্যেয়ারম্যান এলেও রেজিস্ট্রার কথা বলতে দেননি। দুপুর ১১.১৫- ১১.৫৫ পর্যন্ত বৈঠক করেন অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যদের সঙ্গে।
এরপর ডেপুটি সলিসিটর জেনারেলের সঙ্গে দেখা করেন ১২.০৫ নাগাদ। ১৭ জানুয়ারির মধ্যে তাঁরা রিপোর্ট জমা করবেন।
Key Highlights
- বার কাউন্সিল অফ ইন্ডিয়ার তিন প্রতিনিধিদলের সঙ্গে হাইকোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলের বৈঠক চলাকালীন ঢুকে পড়েছিলেন বর্ষীয়ান আইনজীবী অশোক দেব। তাঁকে ঢুকতে দেওয়া হয় না। এরপরই বেরিয়ে যান অশোক দেব।
- দিল্লি থেকে তদন্ত করতে আসা BCI এর প্রতিনিধিদের বৈঠকে ঢুকতে দেওয়া হল না বাংলার বার কাউন্সিলের চেয়ারম্যান অশোক দেবকে। রাজ্য বার কাউন্সিলের চেয়ারম্যান অশোক দেবের সঙ্গে দেখা করতে চাইলেন না হাইকোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল।
- বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার বেঞ্চে বিচারের কাজে যোগ দিতে গিয়ে বাধাপ্রাপ্ত হওয়া আইনজীবীদের প্রাথমিক ভাবে চিহ্নিত করল বার কাউন্সিল অফ ইন্ডিয়া প্রতিনিধি দল।
- ওই আইনজীবীদের বয়ান নেবে প্রতিনিধি দল। জানা গিয়েছে, রবিবারই ফোন করে ওঁদের জানানো হয়েছে, যে এদিন বয়ান নেওয়া হবে।
- প্রত্যেককে বয়ানের জন্য প্রস্তুত থাকতে বলা হল। আজই সম্ভবত বয়ান রেকর্ড।
- ৯ ও ১০ জানুয়ারি বিচারের কাজে যোগ দিতে গিয়ে বাধাপ্রাপ্ত হন ওই আইনজীবীরা।
- তবে কেন আদালতে ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি? সেই প্রশ্ন তুলে প্রতীকী প্রতিবাদের ডাক দিয়েছিলেন আইনজীবীদের একাংশ। এদিন যাঁরা প্রতিবাদ করছেন, তাঁরা কালো ব্যাজ় পরে এসেছেন। আর যে সকল আইনজীবী এই প্রতিবাদে নেই, তাঁরা সাধারণ গাউনেই আদালতে উপস্থিত হয়েছেন। তাঁদের বক্তব্য,’কালা দিবস’ পালনের সিদ্ধান্ত সর্বসম্মতিক্রমে নেওয়া হয়নি। রাজ্য বার কাউন্সিলের সব সদস্যকে না জানিয়েই কালা দিবস পালনের এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। হাইকোর্টের বাকি বিচারপতিরা কাজ করছেন।
- গত সপ্তাহে কলকাতা হাইকোর্টে অচলাবস্থা তৈরি হয়। বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার এজলাস বয়কট করেছিলেন আইনজীবীদের একাংশ। বিসিআই-এর প্রতিনিধিরা জানতে চাইছেন, কেন এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল সেদিন, যে এজলাস বয়কট করতে হয়েছিল। এমনকি পোস্টারও ফেলতে হয়েছিল।
- সেদিনের হাইকোর্টের বিক্ষোভ দৃষ্টি আকর্ষণ করে দিল্লির আইনজীবীদের একাংশকেও। কলকাতা হাইকোর্টের উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ে বিস্ময়ও প্রকাশ করেছিলেন তাঁরা। এরপরই বিষয়টা খতিয়ে দেখতে কলকাতা হাইকোর্টে আসেন ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিমের সদস্যরা।