Cancer Patient: ক্যান্সার আক্রান্তের SSKM-এ চলছে রেডিয়েশন, ২৫ দিন ধরে পথের ধারেই ‘সংসার’

Susovan Bhattacharya | Edited By: সায়নী জোয়ারদার

Dec 11, 2023 | 12:10 AM

SSKM: ত্রিলোচনা ভাস্কর ক্যান্সারের রোগী। মুখে ক্যান্সার তাঁর। জঙ্গিপুর হাসপাতাল থেকে বহরমপুর হয়ে ডেন্টাল কলেজেও গিয়েছেন। এরপর এসএসকেএমে শুরু হয়েছে চিকিৎসা। রেডিয়েশন চলছে তাঁর। ত্রিলোচনা বলেন, "আমরা গরিব মানুষ কার কাছে যাব, কে শুনবে আমাদের কথা? এভাবেই তাই পড়ে আছি।"

Follow Us

কলকাতা: এসএসকেএম হাসপাতালের বাইরে গত ২৫ দিন ধরে এক ক্যান্সার আক্রান্ত রোগী বসে আছেন। একটি দোকানের টিনের শেডের তলায় ঠাঁই নিয়েছেন মুর্শিদাবাদের বহরমপুরের ওই যুবতী। এসএসকেএমেই রেডিয়েশন চলছে ওই যুবতীর। চিকিৎসা পাচ্ছেন, তবে বেড নেই বরাতে। রাতের ঠান্ডা, ভোরের কুয়াশা, দিনের গরম কিংবা আচমকা ঝমঝমিয়ে বৃষ্টি নামলেও তাঁর কিন্তু সেই পথই ভরসা।

বিরোধীদের নিশানায় বারবার এ রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা। বারবার নিশানায় এসএসকেএম। বিরোধীরা বলে, নেতা মন্ত্রী কিংবা ‘প্রভাবশালী’ হলে অনায়াসে বেড পাওয়া যায় এই হাসপাতালে। অথচ সাধারণ মানুষের হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য হাহাকার করেন সাধারণ মানুষই। এমনও আছেন অনেকে যাঁরা দূর থেকে আসেন এখানে টানা চিকিৎসার জন্য। টাকা নেই তাই বাইরে ঘরভাড়া নিয়ে চিকিৎসা করানোর ক্ষমতা নেই। আবার হাসপাতালও শুনিয়ে দেয় ‘বেড নেই’। সকলে চিকিৎসা পাবেন, সেটা স্বাভাবিক। তিনি সমাজের যে স্তরেই বসবাস করুন না কেন। কিন্তু একইভাবে এটাও তো স্বাভাবিক যে সরকারি হাসপাতালে সকলে সমান পরিষেবার দাবিদার।

ত্রিলোচনা ভাস্কর ক্যান্সারের রোগী। মুখে ক্যান্সার তাঁর। জঙ্গিপুর হাসপাতাল থেকে বহরমপুর হয়ে ডেন্টাল কলেজেও গিয়েছেন। এরপর এসএসকেএমে শুরু হয়েছে চিকিৎসা। রেডিয়েশন চলছে তাঁর। ত্রিলোচনা বলেন, “আমরা গরিব মানুষ কার কাছে যাব, কে শুনবে আমাদের কথা? এভাবেই তাই পড়ে আছি। ডাক্তারবাবুও বলেছেন, বাইরে থেকেই চিকিৎসা চালাতে হবে। ভর্তি নেবে না বলে দিয়েছে। বৃষ্টি হল দু’দিন আগে। ভিজে কাপড়েই থেকে গেলাম। কী করব বলুন?” চোখ ছলছল মেয়ের। কী চরম অসহায়তা পাশে বসে থাকা স্বামীর মুখটিতেও!

কলকাতা: এসএসকেএম হাসপাতালের বাইরে গত ২৫ দিন ধরে এক ক্যান্সার আক্রান্ত রোগী বসে আছেন। একটি দোকানের টিনের শেডের তলায় ঠাঁই নিয়েছেন মুর্শিদাবাদের বহরমপুরের ওই যুবতী। এসএসকেএমেই রেডিয়েশন চলছে ওই যুবতীর। চিকিৎসা পাচ্ছেন, তবে বেড নেই বরাতে। রাতের ঠান্ডা, ভোরের কুয়াশা, দিনের গরম কিংবা আচমকা ঝমঝমিয়ে বৃষ্টি নামলেও তাঁর কিন্তু সেই পথই ভরসা।

বিরোধীদের নিশানায় বারবার এ রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা। বারবার নিশানায় এসএসকেএম। বিরোধীরা বলে, নেতা মন্ত্রী কিংবা ‘প্রভাবশালী’ হলে অনায়াসে বেড পাওয়া যায় এই হাসপাতালে। অথচ সাধারণ মানুষের হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য হাহাকার করেন সাধারণ মানুষই। এমনও আছেন অনেকে যাঁরা দূর থেকে আসেন এখানে টানা চিকিৎসার জন্য। টাকা নেই তাই বাইরে ঘরভাড়া নিয়ে চিকিৎসা করানোর ক্ষমতা নেই। আবার হাসপাতালও শুনিয়ে দেয় ‘বেড নেই’। সকলে চিকিৎসা পাবেন, সেটা স্বাভাবিক। তিনি সমাজের যে স্তরেই বসবাস করুন না কেন। কিন্তু একইভাবে এটাও তো স্বাভাবিক যে সরকারি হাসপাতালে সকলে সমান পরিষেবার দাবিদার।

ত্রিলোচনা ভাস্কর ক্যান্সারের রোগী। মুখে ক্যান্সার তাঁর। জঙ্গিপুর হাসপাতাল থেকে বহরমপুর হয়ে ডেন্টাল কলেজেও গিয়েছেন। এরপর এসএসকেএমে শুরু হয়েছে চিকিৎসা। রেডিয়েশন চলছে তাঁর। ত্রিলোচনা বলেন, “আমরা গরিব মানুষ কার কাছে যাব, কে শুনবে আমাদের কথা? এভাবেই তাই পড়ে আছি। ডাক্তারবাবুও বলেছেন, বাইরে থেকেই চিকিৎসা চালাতে হবে। ভর্তি নেবে না বলে দিয়েছে। বৃষ্টি হল দু’দিন আগে। ভিজে কাপড়েই থেকে গেলাম। কী করব বলুন?” চোখ ছলছল মেয়ের। কী চরম অসহায়তা পাশে বসে থাকা স্বামীর মুখটিতেও!

Next Article