কলকাতা: হিমাচলে গিয়ে অসুস্থ অবস্থায় উদ্ধার আরও এক বাঙালি ট্রেকার (Trekker)। কিন্নর (Kinnar) থেকে উদ্ধার করা হয়েছে কলকাতার (Kolkata) বাসিন্দা ক্যাপ্টেন প্রদীপ রায়কে। ১৩ জনের একটি দল নিয়ে কিন্নর গিয়েছিলেন প্রদীপবাবু। তুষার ধসের কবলে পড়ে এই পদযাত্রীর দলটি। এই তেরো জনের মধ্যে তিনজনের মৃতদেহ ইতিমধ্যে উদ্ধার করা হয়েছে।
জানা গিয়েছে, গত ১৭ তারিখ অভিযান শুরু করেছিলেন তেরো জনের এই দলটি। এর নেতৃত্বে ছিলেন প্রদীপবাবু। দলটিতে মহারাষ্ট্রের ১২ জন ও পশ্চিমবঙ্গের ১ জন ছিল। হিমাচল প্রদেশের কিন্নর জেলায় অভিযান শুরু করেছিলেন তারা। অভিযান শুরুর পরই তুষার ঝড়ের কবলে পড়ে দলটি। এরপর একে অপরের থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় ।
আইটিবিপি (ইন্দো-তিব্বত বর্ডার পুলিশ) দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, এই তেরো জনকেই উদ্ধার করতে পারা গিয়েছে। কিন্তু তার মধ্যে মৃত অবস্থায় মিলছে ৩ জনের দেহ। বাকি দশজন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছে। তবে কারও আঘাত ততটা গুরুতর নয় বলেই জানা যাচ্ছে। এই পুরো দলটির নেতৃত্ব দেন ক্যাপ্টেন প্রদীপ রায়। তিনিও তুষার ধসের কবলেও পড়েন। বর্তমানে হাসপাতালে তিনিও চিকিৎসাধীন বলে জানা গিয়েছে। যদিও সরকারি ভাবে এখনও কিছু নিশ্চিত করে বলা হয়নি।
এদিকে, গতকাল কলকাতায় ফিরেছেন মিঠুন দারি। উত্তরকাশিতে সাত জনের একটি দল নিয়ে তাঁরা ট্রেকিংয়ে গিয়েছিলেন। সেই ছয়জনের মধ্যে একমাত্র মিঠুনবাবুই জীবিত অবস্থায় রাজ্যে ফিরেছেন।
গত ১১ই অক্টোবর কলকাতা থেকে উত্তর কাশিতে ট্রেকিং করতে যান সাতজন বাঙালি। এরপর সোমবার সকালে চার অভিযাত্রীর দেহ ফেরে কলকাতায়। ঘটনার বিষয়ে যদিও মিঠুন বেশি কিছু সংবাদমাধ্যমকে জানাতে পারেননি। সংবাদমাধ্যমকে তিনি জানিয়েছেন, এখন অনেকটাই সুস্থ রয়েছেন। তবে ভুলতে পারছেন না সেখানকার ভয়াবহ স্মৃতি।
গত ২২ অক্টোবর প্রথম পাঁচ জনের মৃত্যুর খবর সামনে আসে। উত্তরাখণ্ডের বাগেশ্বর কন্ট্রোল রুম থেকে বাংলার পাঁচ জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করা হয়। মৃতদের মধ্যে রয়েছেন,সাধন বসাক, তিনি ঠাকুরপুকুর জায়গীর রোডের বাসিন্দা। এছাড়াও বিকাশ মাকাল, সৌরভ দাস, সাবিয়ান দাসের দেহ উদ্ধার হয়েছে। তাঁদের পরিচয় জানা গিয়েছে।
উত্তরাখণ্ডের উত্তরকাশীতে তাঁরা প্রত্যেকেই ট্রেকিং করতে গিয়েছিলেন। বিপর্যয়ের পর থেকে নিখোঁজ ছিলেন তাঁরা। পরে রাতের দিকে তিন জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা সম্ভব হয়। দেহ নিয়ে আসার জন্য চপার পাঠানো হয়েছে। নিঁখোজ ছিলেন ৪ জন।
১১ জন পর্বতারোহীর মধ্যে দুজনকে জীবিত অবস্থায় ফিরিয়ে আনা হয়েছিল আগেই। অর্থাৎ বাকি ৯ জনের মধ্যে ৫ জনের দেহ উদ্ধার হয়। জানা গিয়েছে, এই দলটি ট্রেকিং-এ গিয়েছিল। সেখানে গিয়েই বিপত্তি ঘটে। ওই দলের মধ্যে ছিলেন ৭ জন বাঙালি।
আরও পড়ুন: Uttarakhand: ফেরা হল না বাকি ৬ বন্ধুর, দুঃস্বপ্নের মেঘ কাটিয়ে বাড়ি ফিরলেন মিঠুন!