কলকাতা: তৃণমূল ছাত্রনেতার বিরুদ্ধে নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথিতে। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে জরুরি ভিত্তিতে মামলা দায়ের করার অনুমতি দিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা। শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০ টায় সেই মামলার শুনানি রয়েছে। পুলিশি তদন্তে আস্থা নেই, এই দাবি নিয়েই আদালতের দ্বারস্থ হয়েছে পরিবার। নাবালিকাকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে প্রথমে সহবাস এবং পরে আপত্তিজনক ভিডিয়ো মুছে ফেলার নাম করে দিঘার হোটেলে ডেকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। ঘটনায় অভিযোগ দায়ের হওয়ার পর সেই অভিযোগ প্রত্যাহার করার জন্য হুমকি দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। নির্যাতিতার পরিবারের দাবি, পুলিশের প্রত্যক্ষ মদতে হুমকি দেওয়া হচ্ছে।
এক নাবালিকা কলেজ ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে পূর্ব মেদিনীপুরের তৃণমূল ছাত্র পরিষদের ওই ছাত্রনেতার বিরুদ্ধে। সেই ভিডিয়ো রেকর্ড করার অভিযোগও উঠেছে। নির্যাতিতার মা অভিযোগে জানিয়েছেন, সোশ্যাল মিডিয়ায় ওই ভিডিয়ো ভাইরাল করে দেওয়ার ভয় দেখানো হয়েছিল তাঁর মেয়েকে। এরপর ফের দিঘার হোটেলে নিয়ে গিয়ে পুনরায় ধর্ষণ করার অভিযোগ ওঠে। কাঁথি মহিলা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে ওই ছাত্রনেতার বিরুদ্ধে।
ওই ছাত্রনেতা, তাঁর বাবা ও মায়ের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের হয়েছে। পকসো সহ আইনের একাধিক ধারায় মামলা রুজু করেছে পুলিশ। কিন্তু এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি বলে অভিযোগ।
নির্যাতিতার বাবা আগেই অভিযোগ তুলে বলেছিলেন, ‘আমার নাবালিকা মেয়েকে প্রলোভন দেখিয়ে, রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে ওরা নিয়ে গিয়েছিল। আমরা থানায় অভিযোগ করেছি। তবে তারপর থেকে আমরা খুবই ভয়ে দিন কাটাচ্ছি। ফোনে হুমকি দেওয়া হচ্ছে। লোক মারফত হুমকি আসছে। রাতে বাড়ির বাইরে অপরিচিতদের বাইকের আনাগোনা দেখতে পাচ্ছি।’