কলকাতা : তপন দত্ত খুনে এবার ডিভিশন বেঞ্চে মামলা। কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন ডিভিশন বেঞ্চে মামলা করলেন ষষ্ঠী গায়েন নামে এক ব্যক্তি। তিনি তপন দত্ত খুনের মামলায় অভিযুক্ত। তাঁর নাম চার্জশিটে রয়েছে। প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব ও বিচারপতি রাজর্ষী ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চে এই সপ্তাহেই এই মামলার শুনানি হতে পারে।
২০১১ সালের ৬ মে খুন হন হাওড়ার বালির বাসিন্দা তপন দত্ত। তাঁকে খুনের অভিযোগে নাম জড়ায় তৃণমূল নেতা অরূপ রায়ের। এই মামলার তদন্ত শুরু করে সিআইডি। তাদের তদন্তে জানা যায়, জলাজমি ভরাটের বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছিলেন বলেই খুন হন তপন দত্ত। ২০১১ সালে চার্জশিট পেশ করে তারা। তবে সিআইডি-র চার্জশিট থেকে অরূপ রায়-সহ একাধিক ব্যক্তির নাম বাদ পড়ে। এরপরই সিবিআই তদন্তের দাবিতে সরব হয় তপন দত্তের পরিবার।
তপন দত্তর স্ত্রী প্রতিমা দত্ত হাল ছাড়েননি। তিনি সিবিআই তদন্তের দাবিতে অনড় থাকেন। তাঁর আইনজীবীর বক্তব্য, তথ্য প্রমাণের অভাবে অভিযুক্তরা এখনও পর্যন্ত শাস্তি পায়নি। গত বৃহস্পতিবার (৯ জুন) বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা নির্দেশ দেন, তপন দত্ত খুনের মামলার সব নথিপত্র সিবিআইকে তুলে দেবে সিআইডি। সিবিআই যদি মনে করে তদন্তের স্বার্থে আরও কিছু প্রয়োজন, তাহলে তদন্ত করতে পারে তারা। এর পর থেকে বিশেষ সিবিআই আদালতে তপন দত্ত খুনের মামলার বিচার-পর্ব চলবে বলে নির্দেশ দেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা।
সিবিআই তদন্তের নির্দেশ পর প্রতিমা দত্তর আইনজীবী সব্যসাচী চট্টোপাধ্য়ায় বলেছিলেন, এই নির্দেশে তদন্ত সঠিক ভাবে হবে বলে আশা রয়েছে তাঁদের। সুবিচার পেতে সুবিধা হবে বলেও মনে করছেন তিনি। তিনি উল্লেখ করেন, অরূপ রায় সহ অনেকের নাম ছিল এই মামলায়। কিন্তু প্রাথমিক চার্জশিটে অরূপ রায়ের নাম থাকলেও সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিটে সেই নাম বাদ যায়। আইনজীবী প্রশ্ন তুলেছেন, শুধুমাত্র রাজ্যের মন্ত্রী বলেই কি চার্জশিট থেকে নাম বাদ দেওয়া হল? তিনি মনে করেন অন্তত তদন্ত হওয়া দরকার। তারপর নির্দোষ প্রমাণিত হলে অব্যাহতি দেওয়ায় কোনও অসুবিধা নেই।
রাজাশেখর মান্থার এই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েই আজ হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয়েছেন ষষ্ঠী গায়েন। এই সপ্তাহেই তাঁর আবেদনের শুনানির সম্ভাবনা।