কলকাতা: গরু পাচার মামলায় বৃহস্পতিবার দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ কোর্টে সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিট পেশ করেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ED)। আর সেই চার্জশিটে অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) পাশাপাশি নাম রয়েছে সুকন্যা মণ্ডলেরও। একের পর এক তাৎপর্যপূর্ণ বিষয়ের উল্লেখ রয়েছে ইডির চার্জশিটে। শক্তিগড়ে খাবারের দোকানে ‘মিটিং’য়ের ঘটনারও উল্লেখ রয়েছে সেখানে। ইডির দাবি, দিল্লি যাওয়ার সময় সুকন্যার নির্দেশেই শক্তিগড়ে অনুব্রতর সঙ্গে খাবারের দোকানে সাক্ষাৎ করেন তাঁদের ঘনিষ্ঠ তুফান মৃধা এবং কৃপাময় ঘোষ। চার্জশিটে তুফানের দেওয়া বয়ানের উল্লেখ করেছে ইডি। বলা হয়েছে, ইডিকে দেওয়া বয়ানে তুফান জানিয়েছেন, আসানসোল জেলের এক জেলারের কাছ থেকে তিনি জানতে পেরেছিলেন, পুলিশের গাড়ি শক্তিগড়ে দাঁড়াবে। অনুব্রত দিল্লি যাওয়ার আগে সুকন্যা মণ্ডলের নির্দেশেই তাঁরা দেখা করেন। আর সেই সাক্ষাৎ হয় পুলিশি ঘেরাটোপের মধ্যে।
শুধু শক্তিগড় প্রসঙ্গই, ভুয়ো মামলায় অনুব্রতকে দুবরাজপুরে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল এবং তাতে রাজ্য পুলিশের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে ইডি। সেই অভিযোগও করা হয়েছে চার্জ শিটে। ইডিকে এড়াতে এবং নিজের পক্ষে রায় পেতে কলকাতা, দিল্লি, সব হাইকোর্টে অনুব্রত মণ্ডলের করা পর পর মামলার প্রসঙ্গও রয়েছে চার্জশিটে।
ইডির অভিযোগ, আগা গোড়া তদন্তে অসহযোগিতা করেছেন অনুব্রত মণ্ডল। নিজের অ্যারেস্ট মেমো থেকে শুরু করে বিভিন্ন নথি অনুব্রত সই করতে অস্বীকার করেন বলেও উল্লেখ রয়েছে চার্জশিটে। ইডি সূত্রে খবর, অনুব্রত ঘনিষ্ঠ বিদ্যুৎবরণ গায়েন, রাজীব ভট্টাচার্য, বিশ্বজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায় ওরফে মুন, অনুব্রত মণ্ডলের গাড়ির চালক শেখ আনারুল, ওমর শেখ থেকে শুরু করে তুফান মৃধার মতো অনুব্রত-ঘনিষ্ঠদের বয়ান বিপাকে ফেলছে কেষ্টকে।
ইডি ‘প্রিভেনশন অব মানি লন্ডারিং’-এর তদন্ত করছে। তার সঙ্গে এই ঘটনাগুলোর কোনও যোগ নেই। তা সত্ত্বেও চার্জশিটে এর উল্লেখের কারণ? ইডি বোঝানোর চেষ্টা করছে অনুব্রত কতটা প্রভাবশালী। জেলবন্দি অবস্থাতেও তিনি প্রশাসনকে প্রভাবিত করার ক্ষমতা রাখেন।