রঞ্জিত ধর ও সৌরভ দত্তর রিপোর্ট
কেষ্টপুর: শুধু বেলেঘাটায় সন্দীপ ঘোষের বাড়ি নয়! রবিবাসরীয় সিবিআই হানা চলল কিন্তু কেষ্টপুরেও। সিবিআইয়ের আতসকাচের তলায় ফরেন্সিক মেডিসিনের চিকিৎসক দেবাশিস সোম। কিন্তু, হঠাৎ কেন তাঁর বাড়িতে গেলেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকেরা? প্রসঙ্গত, আখতার আলির দায়ের করা অভিযোগের ভিত্তিতে এবার দুর্নীতির তদন্তে নেমেছে সিবিআই। তাঁরই তদন্তে সন্দীপ ঘোষের পাশাপাশি দেবাশিস সোমের বাড়িতেও হানা দেয় সিবিআই। সিবিআইয়ের ৫ সদস্যের তদন্তকারী দলকে এদিন সিআইএসএফ জওয়ানদের নিয়ে দেবাশিস সোমের বাড়িতে তল্লাশি চালাতে দেখা যায়।
কেষ্টপুরের এজি ২৪৩ নম্বর বাড়িতে রয়েছেন দেবাশিসবাবু। এদিন সেখানেই হানা দেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী আধিকারিকেরা। সূত্রের খবর, তাঁর সঙ্গে সন্দীপ ঘোষের সঙ্গে তাঁর পরিচয়, কতদিন থেকে চেনাজানা, এ ধরনেরই নানা উত্তরের খোঁজ করছেন তদন্তকারীরা। প্রসঙ্গত, এই দেবাশিস সোম আবার স্বাস্থ্য নিয়োগ বোর্ডে রয়েছেন। যার চেয়ারম্যান সুদীপ্ত রায়। যিনি আবার আরজি কর মেডিকেল কলেজের রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান। সূত্রের খবর, এই দেবাশিস সোম ৯ অগস্ট ঘটনার দিন আরজি করে উপস্থিত ছিলেন সকাল থেকেই। তিলোত্তমার ময়নাতদন্তের সময়েও তার উপস্থিতি ছিল বলে জানা যাচ্ছে। সেদিন তাঁর সঙ্গে একাধিকবার তদানন্তীন অধ্যক্ষের ফোনেও কথা হয় বলে খবর। সে কারণেই গোটা ঘটনায় আর আসলেই কী ভূমিকা ছিল তা খতিয়ে দেখতে চাইছেন তদন্তকারীরা।
কিন্তু, দেবাশিস সোমের মতো ফরেন্সিক মেডিসিনের চিকিৎসক হেলথ রিক্রুটমেন্ট বোর্ডে কী করছেন? ইতিমধ্যেই প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে যাঁরা অভিযোগ করেছেন তাঁদের অনেকের মনেই ঘুরছে এই প্রশ্ন। যে কোনও মেডিকেল কলেজে যেখানে ময়নাতদন্ত হয় তাঁর তো সেখানে থাকা কথা! এই বিষয়ে নিয়ে জানার চেষ্টা হলে শোনা যায় হেলথ রিক্রুটমেন্ট বোর্ডেও অনেক দুর্নীতি রয়েছে। অভিযোগ, সেই সমস্ত দুর্নীতির ফরেন্সিক এভিডেন্স সংক্রান্ত তথ্য-প্রমাণ লোপাটে পরামর্শদাতা হিসাবে কাজ করতেন দেবাশিস। এই সমস্ত অভিযোগের ভিত্তিতেই হাইকোর্ট সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে। এই অভিযোগের বাস্তব ভিত্তি আছে কিনা, আদৌও কতটা সত্যি, সন্দীপের সঙ্গে ফোনে কী কথা হয়েছিল, কী কথা হয়েছিল, কেন তাঁর সঙ্গেই শুধু কথা, তা বোঝার চেষ্টা করছে সিবিআই। এখন দেখা যাক তদন্তে নতুন কী তথ্য উঠে আসে।