Anubrata Mondal News: “কলির সন্ধ্যে”, অনুব্রত মণ্ডলকে সিবিআইয়ের ডাকের পর কটাক্ষ শমীক ভট্টাচার্যের
রাজনৈতিক মহলে চর্চার অন্যতম বিষয় এখন কেষ্টর ভবিষ্যৎ। তাঁর ভবিষ্যৎ নিয়েও কটাক্ষ বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর। তিনি বলেন, "মোটা পার্থর সঙ্গে এবার মোটা কেষ্টকে জেলে রাত্রিযাপন করতে হবে"।
কলকাতা: বহুদিন ধরেই সিবিআইয়ের নজরে রয়েছেন অনুব্রত মণ্ডল। এর আগে বহুবার সিবিআই-এর ডাক এড়িয়ে গিয়েছেন বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি। বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্যের এই পরিস্থিতিতে কটাক্ষ, “সবে তো কলির সন্ধ্যে, আস্তে আস্তে দেখুন কী হচ্ছে।” কেষ্টকে আক্রমণ বাম নেতা সুজন চক্রবর্তীরও, “অনুব্রতর বাঁয়ে কে, ডাইনে কে সবার কাছেই স্পষ্ট। সিবিআই তো সব জানে। এমনকি বগটুই হত্যাকাণ্ডের কথাও তারা জানে।” তাঁদের সেই কথাকে উড়িয়ে তৃণমূল বলছে, “প্রতিহিংসার রাজনীতি”। তৃণমূল বিধায়ক শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় বলেন, “আমরা দেখলাম মহারাষ্ট্রে কী হল, আমরা দেখতে পাচ্ছি ঝাড়খণ্ডে কী হতে চলেছে। রাজ্যের শাসক দলকে টার্গেট করা হচ্ছে।”
তবে কি ফের উডবার্ন মুখো হবেন অনুব্রত? তাঁকে সিবিআই তলবের ফলে প্রশ্ন রাজনৈতিক মহলে। ‘চড়াম চড়াম’ থেকে ‘গুড়- বাতাসা’ নিয়ে তাঁকে আক্রমণ শুভেন্দু অধিকারীর, “কেষ্টর গলা থেকে তো আওয়াজ বেরোচ্ছে না। আর একটু আগে শুনলাম সিবিআই আবার ডেকেছে”। তবে রাজনৈতিক মহলে চর্চার অন্যতম বিষয় এখন কেষ্টর ভবিষ্যৎ। তাঁর ভবিষ্যৎ নিয়েও কটাক্ষ বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর। তিনি বলেন, “মোটা পার্থর সঙ্গে এবার মোটা কেষ্টকে জেলে রাত্রিযাপন করতে হবে”।
যদিও আগেই গ্রেফতার করা হয়েছে বীরভূমের ‘স্ট্রং ম্যান’ অনুব্রত মণ্ডলের দেহরক্ষী সায়গল হোসেনকে। বৃহস্পতিবার সেই সূত্র ধরে বীরভূমের ৮ টি যায়গায় তল্লাশি চালায় কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। মহম্মদ নাজিমুদ্দিন ওরফে টুলু মণ্ডল, নানুরের কেরিম খান ও জিয়াউল হক এই তিন কেষ্ট ঘনিষ্ঠের বাড়িতে তল্লাশি চালায় ইডি ও সিবিআই। টুলু মণ্ডলের বাড়ি থেকে পাওয়া গিয়েছে নগদ ১৭ লক্ষ টাকা, কিছু নথি ও হিসেবের খাতা। আর তারপরই সোমবার সিবিআই দফতরে আসার জন্য চিঠি পাঠানো হয় অনুব্রত মণ্ডলকে। মনে করা হচ্ছে, কেষ্টর বিরুদ্ধে নতুন করে কিছু প্রমাণ মিলেছে বলেই এই তলব।