কলকাতা : দুই বিধায়ক জেলবন্দি, এক বিধায়ক সিবিআই হেফাজতে। এরই মধ্যে শাসক দলের অস্বস্তি আরও বাড়ছে নদিয়ার তৃণমূল বিধায়ক তাপস সাহাকে নিয়ে! চাকরি দেওয়ার নামে প্রায় ৫ কোটি টাকার প্রতারণা করার অভিযোগ রয়েছে নদিয়ার তেহট্টের এই বিধায়কের বিরুদ্ধে। এফআইআরে নাম থাকা সত্ত্বেও কেন বিধায়ককে গ্রেফতার করা হয়নি? সেই প্রশ্ন আগেও উঠেছে আদালতে। এবার হাইকোর্টে সিবিআই-এর দাবি, তারা তাপস সাহার মামলায় তদন্ত করতে আগ্রহী। তাঁদের হাতে বেশ কিছু প্রমাণ এসেছে বলেও সোমবার বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার এজলাসে দাবি করেছে কেন্দ্রীয় সংস্থা। মঙ্গলবার ফের এই মামলার শুনানি রয়েছে।
নিয়োগ দুর্নীতিতে তাপস সাহার বিরুদ্ধে জড়িত থাকার কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথি সিবিআই পেয়েছে বলে সূত্রের খবর। বিচারপতি মান্থার এমনটাই জানিয়েছে সিবিআই। এদিন অ্যাডভোকেট জেনারেল উপস্থিত না থাকায় রাজ্যের তরফে আবেদন করা হয়, মঙ্গলবার বেলা ২ টোয় শুনানি হোক। আদালত সিবিআই-কে জানায়, শুনানি করে আদালত বিবেচনা করবে, এই মামলা তাদের হাতে দেওয়া হবে কি না। আদালত রাজ্যকে জানিয়ে দেয়, যদি কাল এজি না আসেন তাহলেও কালকেই এই মামলা শুনবে আদালত।
২০১৮ সাল থেকে চাকরি দেওয়ার নামে প্রায় ৫ কোটি টাকার প্রতারণা ওঠে তৃণমূল বিধায়কের বিরুদ্ধে। দায়ের হয় মামলা। মামলাকারীর তরফ থেকে আদালতে জানানো হয়, বিধায়কের বিরুদ্ধে টাকা নেওয়ার অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পায় রাজ্য পুলিশের দুর্নীতি দমন শাখা। প্রতারণার অভিযোগে যে এফআইআর হয়, তাতে তাপস সাহা ছাড়াও তিনজনের নাম ছিল।
বাকি তিনজনকে গ্রেফতার করা হলেও তাপস সাহাকে কেন ছাড় দেওয়া হয়েছে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল। উল্লেখ্য, সদ্য মুর্শিদাবাদ থেকে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহাকে। এছাড়া গত বছর থেকেই জেলবন্দি রয়েছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও মানিক ভট্টাচার্য। তাই প্রশ্ন উঠছে, তাপস সাহাকেও কি এবার হেফাজতে নেবে সিবিআই?