সু জ য় পা ল
সিবিআইয়ের ডিআইজি অখিলেশ সিংকে বদলি করল কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। দিল্লিতে বদলি করা হয়েছে অখিলেশ সিংহকে। রাজ্যে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ মামলার তদন্তভার সামলাচ্ছিলেন তিনি। সেই তালিকায় ছিল ভোট পরবর্তী হিংসা, বগটুই হত্যাকাণ্ড, ঝালদায় কংগ্রেস কাউন্সিলর খুন, হাসখালির গণধর্ষণের অভিযোগ-সহ একাধিক মামলার তদন্ত। এরই মধ্যে তাঁকে দিল্লিতে ডিআইজি স্পেশাল ডিউটি এন্ড রিসার্চ শাখায় বদলি করা হল। এই শাখাটি নতুন চালু হয়েছে। এখনও পর্যন্ত সেই অর্থে কোনও কাজ এই শাখায় শুরু করেনি বলেই সূত্রের খবর। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে কেন এমন ‘কম গুরুত্বপূর্ণ’ পদে তাঁকে বদলি করা হচ্ছে? এর পিছনে কি কোনও রাজনৈতিক প্রভাব রয়েছে? যদিও সিবিআই-এর থেকে দাবি করা হচ্ছে, এটি একটি রুটিন বদলি। কলকাতা স্পেশাল ক্রাইম ব্রাঞ্চের নতুন ডিআইজি হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করছেন এস কে খারে।
উল্লেখ্য, প্রথমে তাঁকে কলকাতা দুর্নীতি দমন ব্রাঞ্চের ডিআইজি পদ থেকে সরিয়ে স্পেশাল ব্রাঞ্চের ডিআইজি করা হয়েছিল। তারপরই আচমকা এরকম ‘কম গুরুত্বপূর্ণ’ পদে অখিলেশ সিংহকে বদলি করা হল। অখিলেশ সিং অসম ক্যাডারের আইপিএস। সিবিআইতে আসার পর ২০১৯ সালে কলকাতায় দুর্নীতি দমন শাখার দায়িত্ব গ্রহণ করেন। তিনি দায়িত্ব নেওয়ার পর গরু পাচার মামলা, কয়লা পাচার মামলার মতো গুরুত্বপূর্ণ তদন্তভার সামলেছে সিবিআই। সেখানে একাধিক প্রভাবশালীকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, এর আগে নারদ কাণ্ডে চার প্রভাবশালী নেতাকে গ্রেফতারও করা হয়েছিল তিনি দায়িত্বে থাকাকালীন।
খুব ঠাণ্ডা মাথার এবং বুদ্ধিদীপ্ত অফিসার হিসেবেই পরিচিত তিনি। সিবিআই সূত্রে খবর, কোনও পরিস্থিতিতেই মাথা গরম করেন না অখিলেশ সিং। পরবর্তী সময়ে যখন দুর্নীতি দমন শাখার থেকে সিবিআইয়ের স্পেশাল ক্রাইম ব্রাঞ্চের ডিআইজি করে আনা হয় তাঁকে। এই সময়ে ভোট পরবর্তী হিংসার তদন্তভার শুরু করে সিবিআই। যখন কলকাতার বাইরে রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় সিবিআইয়ের অস্থায়ী ক্যাম্প তৈরি করা হয়েছে, তখন সেই অস্থায়ী ক্যাম্পগুলিতে গিয়ে পড়ে থেকেছেন তিনি। ঘটনাস্থল একাধিকবার ঘুরে দেখেছেন।
এহেন দাপুটে সিবিআই অফিসারকে কেন তুলনামূলক কম গুরুত্বপূর্ণ পদে বদলি করা হচ্ছে? তা নিয়ে বেশ কিছু প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। সিবিআই সূত্র মারফত এমনও জানা যাচ্ছে, খুব শীঘ্রই হয়ত তাঁকে ডিআইজি থেকে আইজি পদে উন্নীত করা হতে পারে। সেই পদোন্নতির জন্যই কি এই বদলি? তবে, সেটি কি এই গুরুত্বপূর্ণ তদন্তগুলির দায়িত্বে রেখে, তার পাশাপাশি করা যেত না? এমন প্রশ্নও ঘুরপাক খেতে শুরু করেছে।