কলকাতা : ভিনরাজ্যে মামলা স্থানান্তর করতে চায় না সিবিআই। তবে নিম্ন আদালতের বদলে হাইকোর্টেই এই মামলার শুনানি চায় কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। আজ বুধবার কলকাতা হাইকোর্টে দাখিল করা পিটিশনে এমনই আর্জি জানালেন সিবিআই আধিকারিকরা। একইসঙ্গে ধৃতদের নিজেদের হেফাজতে নিতে চায় সিবিআই। বর্তমানে জেল হেফাজতে রয়েছেন তাঁরা।
গত সোমবার নাটকীয়ভাবে বাড়ি থেকে নিয়ে গিয়ে গ্রেফতার করা হয় রাজ্যের দুই মন্ত্রী-সহ চার নেতাকে। নারদ মামলায় গ্রেফতার হন পরিবহনমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, পঞ্চায়েত মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়, বিধায়ক মদন মিত্র ও শোভন চট্টোপাধ্যায়। সিবিআই সেই মামলা রাজ্য থেকে সরিয়ে নিয়ে অন্য রাজ্যে নিয়ে যেতে চায় না। আজ হাইকোর্টে পিটিশন দাখিল করার পর সেই বিষয়টি স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে। ২৫ নম্বর পাতায় ৩২ নম্বর পয়েন্টে সিবিআই আধিকারিকদের দাবি, নিম্ন আদালত থেকে মূল মামলা সরিয়ে হাইকোর্টে নিয়ে আসা হোক। হাইকোর্টেই এই মামলার শুনানি হোক বলে আবেদনে জানিয়েছে সিবিআই।
মূল মামলা চলছে নিম্ন আদালতে। ইতিমধ্যেই সিবিআই চার্জশিটও পেশ করেছে। তাই সেই মামলা হাইকোর্টে সরানোর ক্ষেত্রে বেশ কিছু আইনি জটিলতা রয়েছে। এই অবস্থায় হাইকোর্টে মামলা কতটা সরানো সম্ভব, তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে।
আরও পড়ুন: ‘অনেক বড় ষড়যন্ত্র’, দলীয় কর্মীদের সতর্ক করলেন মদন
তবে মামলায় মু্খ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, আইনমন্ত্রী মলয় ঘটকের নাম যুক্ত করা হয়েছে। ফিরহাদ, সুব্রতদের গ্রেফতারির দিন মুখ্যমন্ত্রী যে ভাবে নিজাম প্যালেসের ভিতরে ঢুকে সিবিআই আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলেছেন, তাতে প্রভাব বিস্তার করার অভিযোগ রয়েছে সিবিআই-এর। সূত্রের খবর, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে এরকমই বিস্ফোরক বয়ান সাজিয়েছে সিবিআই। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা মনে করছে পূর্ব পরিকল্পিতভাবেই সিবিআই অফিস ঘেরাও করেন তৃণমূলকর্মীরা। তাই মামলায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, আইনমন্ত্রী মলয় ঘটকের সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছে সাংসদ কল্যান বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামও। ঘটনার দিন বিচার ভবনে তিনজনই উপস্থিত ছিলেন বলে অভিযোগ।