কলকাতা: স্কুল সার্ভিস কমিশন ও কেন্দ্রীয় সংস্থা সিবিআই-কে ভুয়ো চাকরি প্রার্থী বাছতে নির্দেশ দিয়েছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। আর সেই তথ্য পেশ করতে গিয়েই ওএমআর জালিয়াতির কথা আদালতে বলে সিবিআই। বেশ কয়েকটি ওএমআর ইতিমধ্যেই এসএসসি-র ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে। এরপর বৃহস্পতিবার সেই ওএমআর জালিয়াতি সংক্রান্ত রিপোর্ট আদালতে পেশ করেছে কেন্দ্রীয় সংস্থা। কোন প্রক্রিয়ায় উত্তরপত্রের নম্বর বদলে দেওয়া হয়েছে, সেটাই উল্লেখ করা হয়েছে রিপোর্টে।
রিপোর্টে উল্লেখ্য, মোট চারটি নিয়োগ পরীক্ষার ২৩ লক্ষ ওএমআর শিট বাছাই করা হয়েছিল সল্টলেকের এসএসসি-র অফিসে। পরে নম্বর বাড়ানো হয় একাধিক উত্তরপত্রে। তিনটি হার্ড ডিস্ক খতিয়ে দেখেই এই তথ্য পেশ করা হয়েছে বলে উল্লেখ করেছে সিবিআই।
তদন্তকারী সংস্থা জানিয়েছে, এনওয়াইএসএ (NYSA) নামে একটি সংস্থাকে ওই চার নিয়োগ পরীক্ষার মূল্যায়নের বরাত দেওয়া হয়েছিল। সিবিআই দাবি করেছে, এসএসসি অফিস থেকে যে ডেটাবেস পাওয়া গিয়েছে, তার সঙ্গে মূল্যায়নকারী সংস্থা এনওয়াইএসএ-র মাদার ডেটাবেসের তথ্যে বিস্তর গরমিল। প্রথম হার্ড ডিস্কে রয়েছে গ্রুপ ডি(চতুর্থ শ্রেণির কর্মী) নিয়োগ সংক্রান্ত তথ্য, দ্বিতীয় হার্ড ডিস্কে রয়েছে গ্রুপ সি(চতুর্থ শ্রেণির কর্মী) নিয়োগ সংক্রান্ত তথ্য। আর একটি হার্ড ডিস্কের মধ্যে রয়েছে নবম-দশম এবং একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগের ওএমআরের স্ক্যান করা তথ্য। গাজিয়াবাদে পঙ্কজ বনশল নামে এক ব্যক্তির ঠিকানা থেকে এই তিনটি মাদার হার্ড ডিস্ক উদ্ধার করে সিবিআই। পঙ্কজ বনশল এনওয়াইএসএ-র প্রাক্তন কর্মী বলে জানা গিয়েছে।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি আদালতের নির্দেশে ৪০ জন প্রার্থীর ওএমআর প্রকাশ করেছে এসএসসি। সেখানে দেখা যাচ্ছে, একাধিক উত্তরপত্রে নাম, রোল নম্বর ছাড়া কিছুই নেই। কার্যত সাদা খাতা জমা দেওয়ার পরও তাঁদের নম্বর বাড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।