কলকাতা: গত ২ বছরে একের পর এক মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। ভোট পরবর্তী হিংসা মামলা থেকে শুরু করে বগটুই গণহত্যা, সব ক্ষেত্রেই তদন্ত করছে কেন্দ্রীয় এই সংস্থা। এছাড়াও রয়েছে নিয়োগ সংক্রান্ত একাধিক মামলা। এগুলিকে হাইপ্রোফাইল মামলা বললেও কম বলা হয় না। এই সব মামলার সঙ্গে জড়িয়েছে রাজ্যের একাধিক নেতা, বিধায়ক বা মন্ত্রীর নাম। স্বাভাবিকভাবেই এতগুলি মামলার তদন্ত একসঙ্গে করতে হিমশিম খেতে হচ্ছে আধিকারিকদের। আদালতেও তদন্তের অগ্রগতি নিয়ে বারবার ভর্ৎসনার মুখে পড়তে হয়েছে সিবিআই-কে। এবার এরাজ্যে তদন্তগুলির কথা মাথায় রেখে বড় সিদ্ধান্ত নিল সিবিআই। ভিনরাজ্য় থেকে ডেপুটেশনে অতিরিক্ত অফিসার আনা হচ্ছে এ রাজ্যে।
সূত্রের খবর, রাজ্যের বকেয়া মামলার তদন্তে গতি আনার উদ্দেশেই এই সিদ্ধান্ত সিবিআই-এর। ভিন রাজ্য থেকে বাংলায় ডেপুটেশনে পাঠানো হবে ১০০-র উপর উচ্চপদস্থ সিবিআই আধিকারিককে। চলতি মাস থেকেই ডেপুটেশন শুরু হতে চলেছে বলে খবর সিবিআই সূত্রে।
সিবিআই-এর হাতে এই মুহূর্তে যে সব মামলা রয়েছে, তার মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ হল নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত মামলা (এসএসসি ও প্রাথমিক নিয়োগ), গরু পাচার ও কয়লা পাচার মামলা, বগটুই কাণ্ড, ভোট পরবর্তী হিংসা মামলা। সিবিআই-এর হাতেই এ রাজ্য থেকে গ্রেফতার হয়েছেন তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডল। এছাড়া শান্তিপ্রসাদ সিনহা, কল্যাণময় ভট্টাচার্যের মতো প্রাক্তন কর্তাদেরও গ্রেফতার করেছে সিবিআই। তারপরও হাইকোর্টে ও নিম্ন আদালতে বারবার প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছে কেন্দ্রীয় সংস্থাকে। কেন তদন্তে দেরি হচ্ছে? তার জবাবদিহি করতে হয়েছে সিবিআই-কে।
এমতাবস্থায় গত মাসেই কলকাতায় এসেছিলেন সিবিআই-এর অ্যাডিশনাল ডিরেক্টর অজয় ভাটনগর। কোন মামলার তদন্ত কোন পথে, কতটা এগিয়েছে এবং কোথায় খামতি আছে তা খতিয়ে দেখেন তিনি। হাই প্রোফাইল মামলাগুলোতে যে প্রভাবশালী ব্যক্তিদের নাম উঠে এসেছে তাঁদের বিরুদ্ধে আইনি পথে এগোনোর পরামর্শ দিয়েছিলেন তিনি। সূত্রের খবর, প্রয়োজনে হাই প্রোফাইল মামলার তদন্তের জন্য আরও আধিকারিক নিয়োগ করা হতে পারে বলেও ইঙ্গিত দিয়েছিলেন তিনি।