কলকাতা: মঙ্গলবারের গভীর নিম্নচাপ আরও একটু শক্তি বাড়িয়ে বুধবার অতি গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। পোর্ট ব্লেয়ার থেকে ৫৪০ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছে সেই অতি গভীর নিম্নচাপ। এই সিস্টেমটি যাবে বাংলাদেশের কক্সবাজার থেকে ১৪৬০ কিলোমিটার দূরে এবং মায়ানমার শহর থেকে ১৩৬০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিম দিকে।
আজ রাতের মধ্যে এই অতি গভীর নিম্নচাপ ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে। আগামিকাল এটা আরও শক্তি বাড়াবে বলে আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর। বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে সেই ঘূর্ণিঝড়ের ভয়াবহ চেহারা দেখা যাবে। ‘ভেরি সিভিয়ার’ ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে এটি। এটির অভিমুখ উত্তর-পশ্চিম দিকে থাকবে।
১২ মে অর্থাৎ শুক্রবার ঘূর্ণিঝড়টি দিক পরিবর্তন করবে। তারপর এটি উত্তর-পূর্বে বাংলাদেশ-মায়ানমার উপকূলের দিকে এগোবে। ১৩ মে এটি শক্তি হারিয়ে ১৪ তারিখ মায়ানমার এবং বাংলাদেশ উপকূল পেরবে। সেই সময় হাওয়ার গতিবেগ থাকবে ১১০ থেকে ১২০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা। আর আছড়ে পড়ার সময় গতিবেগ থাকবে ১৩০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা।
হাওয়া অফিস সূত্রে খবর, আন্দামান-নিকোবরেই যা বৃষ্টি হওয়ার হবে। মৎস্যজীবীদের ১৩ মে পর্যন্ত মাছ ধরতে যেতে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। আন্দামানের পর্যটকদের জন্য বিশেষ সতর্কবার্তা জারি করা হয়েছে। ছোট বড় সমস্ত ট্রলারও বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এদিকে, এরাজ্যে তাপপ্রবাহের সর্তক বার্তা দেওয়া হয়েছে। কলকাতা এবং পূর্ব মেদিনীপুর বাদে সব জায়গাতেই আগামী ১২ মে পর্যন্ত জারি থাকবে তাপপ্রবাহ। উত্তরবঙ্গের ক্ষেত্রে মালদহ এবং দুই দিনাজপুরে ১১ তারিখ পর্যন্ত তাপপ্রবাহের সতর্কবার্তা রয়েছে।
আবহবিদরা জানাচ্ছেন, মূলত এই ঘূর্ণিঝড়টি মধ্য বঙ্গোপসাগরের ওপর দিয়ে চলে যাবে। এর প্রভাব থাকবে উত্তর বঙ্গোপসাগরের ওপর। তাই উত্তর বঙ্গোপসাগরে মৎস্যজীবীদের মাছ ধরতে যেতে নিষেধ করা হয়েছে।