কলকাতা : কোনও আকারে-ইঙ্গিতে নয়, একেবারে সোজা-সাপ্টা ভাষায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেছেন চিত্রশিল্পী শুভাপ্রসন্ন। ‘দ্য কেরালা স্টোরি’ নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত যে তিনি মেনে নেননি, তা বুঝিয়ে দিয়েছেন দ্ব্যর্থহীন ভাষায়। এর আগেও পানি-দাওয়াত বাংলা শব্দ কি না, তা নিয়ে বিতর্কে জড়িয়েছিলেন শুভাপ্রসন্ন। তখন তাঁকে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক কুণাল ঘোষ। আর এদিন শুভাপ্রসন্নর মন্তব্যের পর কুণাল ঘোষ চা খেতে পৌঁছে গেলেন শিল্পীর বাড়িতে। বুধবার সন্ধ্য়ায় শিল্পীর বাড়িতে প্রবেশ করতে দেখা যায় তাঁকে।
এদিন সকালেই শুভাপ্রসন্নের সঙ্গে ফোনে কথা হয় কুণালের। তারপরই বাড়িতে যান। বেরিয়ে কুণাল ঘোষ বলেন, ‘শুভাদার পেন্ডিং নেমন্তন্ন ছিল। আর্ট একরেও যাওয়ার ছিল, বাড়িতে বসে চা খাওয়ারও কথা ছিল।’ তবে চায়ের টেবিলে কী নিয়ে হল আলোচনা? কুণালের স্পষ্ট জবাব, ‘শুভাদার সঙ্গে আলোচনার বিষয়ের কোনও অভাব হয় না। কত নতুন বিষয় নিয়ে আলোচনা হল।’
আর কেরালা স্টোরি নিষিদ্ধ করার ক্ষেত্রে কি বদলাল মত? কৌশলে সে উত্তর এড়ালেন দুজনেই। কুণালের দাবি, ভুল বোঝাবুঝির কোনও বিষয় নেই। তাঁর কথায়, ‘শুভাদা সিনিয়র মানুষ। পরিবর্তনের আন্দোলনে নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিত্ব করেছিলেন তিনি। সিপিএমের বিরুদ্ধে লড়াই করেছিলেন। বহুদিন ধরে মমতাদির সঙ্গে আছেন।’ অবস্থান বদলের কোনও প্রশ্নই নেই বলেই মন্তব্য কুণালের। বিষয়টা নাকি এতটা জটিলই নয়!
আর কী বললেন শুভাপ্রসন্ন? কুণালকে বাড়ির দরজা থেকে বিদায় জানানোর পর সংবাদমাধ্যকে দেখে ফের এগিয়ে আসেন তিনিও। প্রশ্নের মুখে বলেন, ‘আমি যা বলেছি, ভুল বলিনি। সিদ্ধান্ত বদল করার মতো কিছু নয়। আমাদের যা ভাল সম্পর্ক, তাতে কারও ভুল হলে ঠিক করে দিতে পারি। নিজেদের মধ্যে মিটিয়ে নিতে পারি।’
কুণাল আরও বলেন, ‘শুভাদা কোনও একটা আঙ্গিক থেকে কথাগুলো বলেছিলেন। কিন্তু প্রশাসক হিসেবে মুখ্যমন্ত্রীকে কিছু কিছু সিদ্ধান্ত নিতেই হয়।’ কোনও দ্বন্দ্ব, বিভেদ প্রশাসনিক ক্ষেত্রে মেনে নেওয়া যায় না বলেই মন্তব্য করেন তিনি।
ঠিক কী বলেছিলেন শুভাপ্রসন্ন? ‘মুখ্যমন্ত্রী নিজেও একজন শিল্পী, কোনও শিল্পকেই নিষিদ্ধ করা উচিত নয়। এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করি।’ শুধু তাই নয়, যে ছবিটি সেন্সর সার্টিফিকেট পেয়েছে সেটি বন্ধ করা ঠিক নয় বলেও মত প্রকাশ করেছিলেন তিনি।