কলকাতা: প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে টেট দুর্নীতিতে এবার এফআইআর দায়ের করল সিবিআই। এফআইআরে উল্লেখ রয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা দফতরের অজ্ঞাতপরিচয় কর্মীদের কথা। এফআইআর-এ উল্লেখ করা হয়েছে বাগদার চন্দন মণ্ডল ওরফে রঞ্জনের নাম। আরও একাধিক অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তি এই দুর্নীতিতে জড়িত বলে এফআইআর-এ উল্লেখ করা হয়েছে। মোটা টাকার বিনিময়ে প্রার্থীদের চাকরি দেওয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ।
এবার প্রশ্ন কে এই চন্দন মণ্ডল?
প্রাথমিক শিক্ষক দুর্নীতিতে তোলপাড় রাজ্য। একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে আসছে। উঠে এসেছে চন্দন নামে এক ব্যক্তির নাম। চন্দন কে? এটাই বড় প্রশ্ন। ফেসবুকে চাকরি বিক্রি হচ্ছে বলে একটি ভিডিয়ো পোস্ট করেছিলেন উপেন বিশ্বাস। তিনি দাবি করেন, রঞ্জন টাকা নিয়ে চাকরি বিক্রি করে। এই রঞ্জন কে, সেই প্রশ্ন স্বাভাবিকভাবে সামনে আসে। উপেন বিশ্বাস সিবিআই-এর প্রাক্তন অ্যাডিশনাল ডিরেক্টর। তিনি রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রীও। তাই তাঁর করা পোস্ট উড়িয়ে দেওয়া যায় না বলেই মনে করছে আদালত। এবার এই নিয়ে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় জানতে চান, এই রঞ্জন বাগ কে? ৫-৬ বছর আগে সিপিএম ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেন চন্দন। ৫০ হাজার টাকা দিয়ে তৃণমূলের সদস্য হয়েছিলেন বলে উল্লেখ করেছেন প্রাক্তন বিধায়ক। তিনি আরও জানিয়েছেন, সম্ভবত পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের হাত ধরেই তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন ওই চন্দন। তিনি বলেন, অনেকেই টাকা দিয়ে চাকরি পেয়েছে শুনেছি। আগে ৪-৫ লক্ষ টাকা দিতে হত, এখন ১১ লক্ষ টাকার বিনিময়ে চাকরি দেওয়া হয়। তবে তাঁর কথায়, যে ঘুষ দেয় সেও গোপনে দেয়, আবার যে ঘুষ নেয়, সেও গোপনে নেয়। কেউ সাক্ষী রাখে না। এবার এই চন্দনের বিরুদ্ধেই এফআইআর দায়ের করে তদন্ত শুরু করছে সিবিআই।