কলকাতা: ফার্টিলাইজার কোম্পানির আড়ালে আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ। সিবিআই হানা দিল সল্টলেক-সহ আরও বেশ কয়েক জায়গায় এক সঙ্গে তল্লাশি চালাল সিবিআই। সূত্রের খবর রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলটের ভাই অগ্রসেন ফার্টিলাইজার সরবরাহের নামে মানি লন্ডারিং করতেন। সেই মামলায় নাম জড়ায় কলকাতার ব্যবসায়ী প্রদীপ সরাফের কোম্পানির নাম।
জানা যাচ্ছে, ওই কোম্পানি ২০০৭ সাল থেকে ২০১৪ পর্যন্ত এই মানি লন্ডারিং হয়েছিল। এর আগে এই মামলার তদন্তের দায়িত্ব ভার নিয়েছিল এনফর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। ২০২১ সালের মে মাসে তদন্ত করেছিল ইডি। লার্জার কন্সপিরেসি দেখে এই মামলার দায়িত্ব দেওয়া হয় সিবিআইকে।
তারপরে সিবিআর-এর পক্ষ থেকে শুক্রবার সকালে কলকাতা-সহ বেশ কয়েকটি জায়গা এই তল্লাশি অভিযান চালানো হয়। তারমধ্যে সল্টলেক জিসি ব্লকের প্রদীপ সরাফের বাড়ি অন্যতম। প্রায় চার ঘণ্টা পর সল্টলেক জি সি ব্লকের ৮৪ নম্বর বাড়ি থেকে বেরিয়ে গেল সিবিআই আধিকারিক।
উল্লেখ্য, শুক্রবার দুর্নীতির নতুন মামলার অশোকের ভাইয়ের বাড়িতে তল্লাশি চালায় সিবিআই। সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, আগ্রাসেন গেহলটের বাণিজ্যিক অফিসেও তল্লাশি চালিয়েছে সিবিআই। কীটনাশক রফতানি মামলায় আগে থেকেই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট বা ইডি স্ক্যানারে ছিলেন আগ্রাসেন। অশোকের ভাইয়ের বিরুদ্ধে ইডির অভিযোগ ছিল, ২০০৭ ও ২০০৯ সালে বেআইনিভাবে বিপুল পরিমাণ কীটনাশক রফতানি করা হয়েছিল। এই কীটনাশক মামলায় সরফ ইমপেক্স এবং অন্যান্য সংস্থার বিরুদ্ধে প্রিভেনশন অব মানি লন্ডারিং অ্যাক্টের আওতায় তদন্ত শুরু করেছিল ইডি। মুখ্যমন্ত্রী আগ্রাসেন গেহলট অনুপম কৃষি নামক একটি সংস্থার মালিক।
অসমের দিসপুরে জাতীয় সড়ক সম্প্রসারণ ও সংস্কারমূলক কাজের বরাত নিয়ে কারচুপির অভিযোগেও সিবিআই একাধিক জায়গায় তল্লাশি চালায়। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে কলকাতায় বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। মুচিপাড়া থানা এলাকার ১৩ ডি, ফরডাইস লেনে সৌমিত্র দে নামে এক ব্যবসায়ীর বাড়িতে তল্লাশি চলে। দিসপুর জাতীয় সড়ক সম্প্রসারণ ও সংস্কারের কাজের জন্য টেন্ডার ডাকা হয়। সেই টেন্ডারেই দুর্নীতি হয় বলে অভিযোগ।