কলকাতা: সোমবার সকালবেলাই তৎপর সিবিআই (CBI)। বীজপুরের বিধায়ক সুবোধ অধিকারীর আপ্ত-সহায়ক রবিন্দর সিংকে রাতভর চলে জেরা। এরপর সিজিও (CGO) থেকে সকাল ৬টা ৫৪ নাগাদ মিনিট নাগাদ তাঁকে নিয়ে রানিকুঠির আবাসনে পৌঁছয় কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার দল। মোট পাঁচটি গাড়ি নিয়ে ওই আবাসনে পৌঁছয় তাঁরা। সূত্রের খবর, বাড়িটির নাম ভগবান্তদেবী ঝুনঝুনওয়ালা। রবিন্দর সিংকে নিয়ে তাঁর আবাসনেই পৌঁছন গোয়েন্দারা।
কোন তদন্তে ঝুনঝুনওয়ালা আবাসনে সিবিআই
সিবিআই সূত্রে খবর, আশীস ঝুনঝুনওয়ালা একটি নাম সামনে এসেছে। এই ব্যক্তি পেশায় ব্যবসায়ী। তাঁর বিরুদ্ধে মূলত অভিযোগ, কয়েক কোটি টাকার ব্যাঙ্ক জালিয়াতি করেছেন তিনি। সেই তদন্তের গতি বাড়াতেই এ দিন সাত সকালে সিবিআই-এর আর্থিক দুর্নীতি দমন শাখা সেখানে পৌঁছয়।
সূত্রের খবর, ২০১৭ সালে কোটি টাকার ঋণ খেলাপির অভিযোগ উঠেছিল এই ঝুনঝুনওয়ালা ফার্মের বিরুদ্ধে। সেই মামলারই তদন্ত ভার হাতে নেয় সিবিআই। আজ ঝুনঝুনওয়ালা আবসনে পৌঁছনোর পর তল্লাশি চালায় গোয়েন্দারা। বন্ধ করে দেওয়া হয় বাইরের দরজা। অত্যন্ত নিরাপত্তার সঙ্গে তদন্ত চালান গোয়েন্দারা।
উল্লেখ্য, রবিবার বীজপুর বিধানসভা এলাকার মোট ছ’জায়গায় অভিযান চালায় সিবিআই। একইসময়ে ৬টি দল একযোগে ছ’জায়গায় তল্লাশি চালায়। সকাল ৮টা ৪৫ মিনিটে হালিশহর জেঠিয়াতে কমল অধিকারীর ফ্ল্যাটে, হালিশহর মঙ্গলদীপ, হালিশহর জেঠিয়াতে সুবোধ অধিকারীর পৈত্রিক বাড়িতে, জেঠিয়ায় অভিজিৎ শিকদারের বাড়িতে হানা দেয় তারা। মূলত, হালিশহরের চেয়ারম্যান রাজু সাহানির বাড়ি থেকে লক্ষ-লক্ষ টাকা উদ্ধারের পর তাঁকে গ্রেফতার করে সিবিআই (CBI)। এরপর তাঁর ঘনিষ্ঠ বীজপুরের বিধায়ক সুবোধ অধিকারীর বাড়িতেও হানা দেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা।