কলকাতা : যে সময় লালন শেখের মৃত্যু হয়, সেই সময় সিবিআই ক্যাম্পে ছিলেন না দুই তদন্তকারী অফিসার। তাঁরা আদালতে গিয়েছিলেন সিবিআই সূত্রে দাবি করা হয়েছে। সোমবার বিকেলে বগটুই-কাণ্ডের অন্যতম অভিযুক্ত লালন শেখের মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়ায় রামপুরহাটে। এরপর সিবিআই-এর তরফে দাবি করা হয়েছে, বাথরুম থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে ওই ব্যক্তির দেহ।
সোমবার বিকেল ৪ টে ২৫ মিনিটে মৃত্যু হয় লালন শেখের। সিবিআই সূত্রে দাবি করা হয়েছে, ঘটনার সময় দুজন তদন্তকারী অফিসার আদালতে গিয়েছিলেন। একজন কনস্টেবল ও একজন সিআরপিএফ ক্যাম্পে দায়িত্বে ছিলেন। সেই সময় বাথরুমে ঢুকে আত্মঘাতী হন লালন। জাতীয় মানবাধিকার কমিশনকে ঘটনার কথা জানিয়েছে সিবিআই।
বীরভূমের এসডিপিও জানিয়েছেন, সিবিআই-এর ডিআইজি তাঁকে ফোন করে ঘটনার কথা জানান বিকেল ৪ টে ৪৫ মিনিট নাগাদ। এরপরই পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। সুপ্রিম কোর্টের গাইডলাইন মেনে অস্বাভাবিক মৃৃত্যুর ঘটনায় যে তদন্ত করা হয়, সেই প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
সিবিআই ক্যাম্প থেকে লালন শেখের দেহ ময়নাতদন্তের জন্য রামপুরহাট হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। সেখানে রয়েছে লালনের পরিবার। নতুন করে যাতে কোনও উত্তেজনা তৈরি না হয়, তার জন্য বিশাল পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। পরিবারের তরফে দাবি করা হয়েছে, সিবিআই মেরে ফেলেছে লালনকে।
দীর্ঘদিন কোনও খোঁজ ছিল না বগটুই-কাণ্ডের অন্যতম অভিযুক্ত লালন শেখের। পরে ডিসেম্বর মাসে তাঁকে গ্রেফতার করে সিবিআই। হেফাজতেই ছিলেন তিনি। সোমবার সেখানেই মৃত্যু হয়েছে লালন শেখের। কী ভাবে মৃত্যু হল, তা জানতে তদন্ত করছে পুলিশ।